দেবপ্রিয়া সরকার : গত বছর চীনের উহান মার্কেট থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া যে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তার প্রভাব ভারতেও বেশ জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। সারাদেশ জুড়ে লকডাউন জারি থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধক আটকানো যেন কোনভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টাতে নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩৫ জন, এবং মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। সব মিলিয়ে সারাদেশে করোনা ভাইরাসের মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৪৭ জন।
দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের মানুষ। ওই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৩৬৪ জন মানুষ। ভারতে করোন ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সারা ভারতবর্ষে লকডাউন জারি করেন। এখন সমগ্র ভারতবাসী লকডাউনের মধ্যে দিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করছেন। সমস্ত দোকানপাট, বাজারহাট বন্ধ। শুধু চালু রয়েছে অত্যন্ত জরুরী পরিষেবা। আগামী ১৪ এপ্রিল উঠে যাওয়ার কথা ছিল এই লকডাউন। কিন্তু আদৌ লকডাউন তোলা হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। কেননা সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে লকডাউন জারি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কথা রয়েছে আজ অর্থাৎ শনিবার দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কনফারেন্সের পরেই লকডাউন তোলা হবে কিনা বা না তুললেও আরো কতদিনের জন্য লকডাউন জারি থাকবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।
তবে জানা গিয়েছে, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও বেশ কিছু বিষয়ে মিলতে পারে ছাড়। লকডাউনের নিয়মে আসতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বাদে যান চলাচল সীমিত থাকবে। তবে স্কুল, কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও পুরোপুরি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন রাজ্যের ১২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া যায়। এতে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৯।