আগে পণ নেওয়া বা দেওয়া একটি প্রথা ছিল কিন্তু বর্তমানে পণ নেওয়া বা দেওয়া দুটোই আইনের চোখে অপরাধ। কিন্তু আইনকে কোনো পরোয়া না করে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখনও মানুষ এই কাজটি নির্দ্বিধায় করে চলেছে।
মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে পণ দিতে না পারায় স্ত্রীর কপালে জুটে শশুরবাড়ির অকথ্য অত্যাচার। এরকম বহু ঘটনা প্রায় শিরোনামে আসে। কিন্তু এইবারের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অন্যরকম। পণ না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্ত্রীর ছবি পোস্ট করে যৌনতার বিজ্ঞাপন দিলেন। যা এক চরম নিন্দনীয় অপরাধ। এরকম ঘৃন্যতর কাজ কোনো স্বামী, তার স্ত্রীকে নিয়ে করতে পারে তা দেখে হতবাক সকলে।
উত্তপ্রদেশের থুথিয়া গ্রামের পুনিত নামে একটি যুবকের সাথে এই মেয়ের বিয়ে হয়। পুনিতের একটি বাইক এর সখ ছিল কিন্তু পুনিত যা রোজগার করে তা দিয়ে বাইক কিনতে সে অসমর্থ। তাই সে বাইক কেনার জন্য শশুর বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আনার জন্য স্ত্রীর ওপর জোর করে। কিন্তু স্ত্রী কোনোমতেই তা মেনে নেননি। তাই তার কপালে জুটেছিল স্বামীর মার। এরপর স্ত্রী শশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে। এরপরেও স্বামীর রোষ থেকে তিনি মুক্তি পেলেন না। স্ত্রীকে জব্দ করতে স্ত্রীর ছবি ও মোবাইল নং সোশ্যাল সাইটে ছেড়ে দেন। এবং সেখানে উল্লেখ করেন, কথা বলতে চাইলে বা সঙ্গম করতে চাইলে টাকা দিতে হবে।
এরপর পুনিত এর স্ত্রী একের পর এক ফোন সেক্স এবং সঙ্গমের প্রস্তাব পেতে থাকেন। স্ত্রী এই ঘটনা কার কারসাজি বুঝতে পারে একমুহুর্ত সময় নষ্ট না করে পুনিতের বিরুদ্ধে সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ পুনিত কে গ্রেফতার করেছে।