মানুষের অত্যাচারের কবলে পড়ে প্রাণীকুল বারবার বিপর্যস্ত হয়। শিকারিদের পাল্লায় পড়ে দিনদিন বিলুপ্ত হচ্ছে নানা রকম প্রজাতির প্রাণী। অথচ পৃথিবীতে সকলের সমান অধিকার আছে। সম্প্রতি এক গর্ভবতী হাতির হত্যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে মিডিয়া। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল হাতিটি, খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে এসেছিল লোকালয়ে। আর সেটাই কাল হলো। মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলো। আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে খাইয়ে দেওয়া হলো তাকে। প্রবল বিস্ফোরণের হাতিটির মুখ গলার বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল সেই যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছিল না হাতিটি তাই স্থানীয় ভেল্লিয়ার নদীর জলে নেমে পড়েছিল সে, যদি কিছুটা যন্ত্রণা কমে। ওই নদীর জলে শেষমেশ মারা যায় হাতিটি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ফুসফুসে জল ঢুকে মারা গিয়েছে হাতিটি কিন্তু সারা দেশের মানুষ জানে হাতিটি হত্যাকারী আসলে মানুষ। নিশংস ভাবে তাকে খুন করেছে মানুষেরা, 14 দিন ধরে হাতিটিকে বল ছটফট করেছে যন্ত্রণায় মুখ ও গলার ভিতরে গভীর ক্ষত থেকে সেপসিস হয়ে গিয়েছিল। মানুষকে বিশ্বাস করার ফল ভুগতে হয়েছিল। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই মৃত্যু হল গর্ভে থাকা হাতিটিরও।
বনদপ্তর এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন ওই এলাকায় বুনো শুয়োর তাড়াতে গুড়ে মোড়া বাজি রেখে দেওয়া হয়, আর ওটা খেয়ে চোয়াল ভেঙে যায় বুনো শুয়োরের। হাতিটি ওই গুড়ে মোড়া বাজি খেয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন বনকর্মীরা চলার পথে পায়ে ঠেকায় বাজি মুখে পুরে ফেলেছিল হাতিটি। আর তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে শরীরের ভিতর। প্রবল যন্ত্রণা নিয়েও অন্য কারো দিকে তেড়ে আসেনি হাতিটি, বাড়িঘর ভাঙচুর করেনি 14 দিন ঠাই জলে মুখ ডুবিয়ে ছিল, তারপর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।