দাবানলের মতো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস আর তারজন্য দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। সকলকে সচেতন থাকার সময় এটা এরজন্য চলছে সবসময় হাত ধোয়া স্যানিটাইজার ব্যবহার ডিসটেন্স মেনটন ইত্যাদি। কিন্তু এগুলি সাময়িক কার্যকরী। করোনা ভাইরাস নির্মূল করতে প্রতিষেধকও প্রয়োজন। কোথাও কোথাও তাই বিভিন্ন ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে করানা সংক্রমণ রুখতে ব্যবহার করতে শুরু করছেন চিকিৎসকরা। কোথাও আবার নতুন করে ওষুধ আবিষ্কারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন গবেষকরা। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যখন হিমশিম খাচ্ছে গবেষকরা তখন এর মধ্যে থেকে বেরিয়ে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সম্প্রতি করোনা চিকিৎসায় আশার আলো দেখিয়েছেন অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজ এর প্রধান আন্টনি ফাওসি দাবী করেছেন এই ওষুধ মানব শরীরের করোনা ভাইরাসের বংশগতির রুখতে সাহায্য করছে। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক চিকিৎসা মহলের সারা জানিয়েছে এই খবর। তিনি দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড পজেটিভের শরীরে ঢালের মতো কাজ করেছে রেমডেসিভির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই লক্ষ বেশি মানুষের ওপর এই ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণের পর জানা গিয়েছে সাধারণ ওষুধেরর তুলনায় যে রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছিল তাদের সুস্থ হতে 30% সময় কম লেগেছে। চীন ও কোরিয়ার রোগীদের ওপর এই ড্রাগ প্রয়োগ করা হয় ও সুফল মেলে।
এই নিয়ে বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডাক্তার অমিতাভ নন্দী বলেছেন যেকোনো ওষুধ বাজারে আনার আগে বড় মাত্রায় মাল্টিসেন্ট্রিক রানডমাইজড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দরকার, তবেই বলা যাবে এটা কতটা কার্যকারী। গবেষকরাও জানিয়েছেন এর ট্রায়াল শুরু হয়েছে যেকোনো টিকা তৈরীতে 15-18 মাস সময় লাগে। তবে আশার আলো এটাই যে আফ্রিকার ইবোলা মহামারীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ জীবনদায়ী প্রমাণিত হয়েছিল এই ওষুধে কোভিদ পজেটিভ মৃত্যুহার কম দেখি না তাই এখন পরীক্ষনীয়।