করোনার থাবায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সংক্রমন রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ কাজকর্ম, গৃহবন্দি মানুষ। বাড়ছে পরিবেশের তাপমাত্রা তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসির ব্যবহারও। তবে বন্ধ ঘরে, কম তাপমাত্রায় যে ভাইরাস বেশি মাত্রার সক্রিয় হয়ে যায় তা আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি না চালালেও নয়। এই সমস্যার সমাধান করলো কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হলো এসির মাত্রা কতটা রাখলে তা সুবিধাজনক হবে।
এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার ইঞ্জিনিয়ার্স এর তরফ থেকে কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগকে বিশেষ ভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে যে এসি চালালে, তার তাপমাত্রা যেন ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যেই থাকে৷ ২৪ ডিগ্রির কমে এসি চালানো একদমই উচিত নয়। অন্যদিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ঘরের বা বাইরের এসি-তে আর্দ্রতা যেন ৪০ থেকে ৭০ ডিগ্রির মধ্যে থাকে৷
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “বাড়িতে এসি চললেও জানলা অল্প করে খুলে রাখা জরুরি। এছাড়া অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আগে থেকে দরজা-জানলা খুলে ও ফ্যান বা এসি চালিয়ে বায়ু চলাচল ঠিক করে নিতে হবে। এতে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ভিতরের তাপমাত্রার একটা সামঞ্জস্য তৈরি হবে। বদ্ধ জায়গায় ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস অনেক দ্রুত সক্রিয় হয়, তাই এই বায়ু চলাচল খুব প্রয়োজনীয়।”
