গত দেড় মাস ধরেই ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনার পারদ সপ্তমে ছিল। চীন সেনা বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করছিল। দুই দেশের সেনাপ্রধান এই নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান হয়নি। সোমবার আবার চীন সেনা ভারতীয় সীমান্তে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে চীনে সেনার গুলিতে শহীদ হয় ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং গুরুতর আহত ১৭ জন জওয়ান, এমনটাই জানা গিয়েছে এএনআই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন থেকে।
কিন্তু চীন প্রথম থেকেই নিজের দায় গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। চীন সমস্ত দায় ভারতের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেন, ‘ভারতীয় সেনা নাকি চীন সীমান্তে ঢুকে হামলা চালিয়েছে চীন সেনার ওপর আর তার প্রতিবাদে পাল্টা জবাব দিয়েছে চীন সেনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত যেন একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে নাহলে সীমান্তে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তাব জানিয়েছেন, সীমান্তের যে নিয়ম আছে তা মেনেই এলএসির মধ্যেই রয়েছে ভারত। আমরা মনে করছি চিনও সেটাই করবে। ভারত চায় কোনো অশান্তি না করে শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে।
গতকাল রাত্রে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চার হেভিওয়েট মন্ত্রী সহ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে ছিলেন ভারতীয় সেনার চিফ জেনারেল এমএম নারাভানে। এই মিটিং এ লাদাখ লাদাখে গালোয়ান উপত্যকায় চিন-ভারত সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা হয়। সীমান্তে চীন সেনার কোনওরকম প্রবেশ ও আগ্রাসন ঠেকাতে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে কেন্দ্র।