দীর্ঘদিন ধরে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চলায় বন্ধ ছিল বাস,ট্রেন, অফিস,আদালত সমস্ত কিছু। আনলক-১ ঘোষণার পর ধীরে ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে সরকারি এবং বেসরকারি বাস। খুলে গিয়েছে অফিস,আদালত, কলকারখানা,শপিং মল। কিন্তু ট্রেন চালু হয়নি। বাস রাস্তায় নামলেও তা যথেষ্ট নয়। অফিসে যেতে গিয়ে বহু মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাই লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলমন্ত্রক।
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সম্মতি পেলেই আগামী জুলাই মাস থেকেই চলতে পারে লোকাল ট্রেন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে শহরতলির লোকাল ট্রেন এবং অন্যান্য নিয়মিত এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। যেকোনো দিন ট্রেন চালানোর নির্দেশিকা এলেই যাতে ট্রেন চালানো যায় তার জন্য যাবতীয় কর্মসূচি সেরে রাখতে চাইছে পূর্ব রেল।
রেলমন্ত্রক এর তরফ থেকে রেলের উচ্চপদস্থ অফিসারদের ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেদিকে নজর দিতে, প্রতিটি স্টেশন ও সার্কুলেটিং এরিয়ার ড্রয়িং করতে হবে। স্টেশনে সবথেকে বেশি কোন সময়ে যাত্রী ওঠানামা করে, স্টেশনে প্রতিদিন কত সংখ্যক সাবার্বান ট্রেন থামে, কতক্ষণ সময় অন্তর থামে, তার হিসাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে জানিয়ে দিতে হবে। অফিস টাইমে বেশি ভিড় হয় সেই কথা মাথায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া একটি ১২ কামরার লোকাল ট্রেনে আনুমানিক প্রায় ১,৫০০ জন যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু এই সংকট পরিস্থিতিতে অর্ধেক অর্থাৎ ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক।
এছাড়া ট্রেন চলাচল এর কারণে যাতে করোনা সংক্রমিত না হয় তার জন্য কিছু ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে রেল কতৃপক্ষের তরফ থেকে। সেই কারণে, কোনও স্টেশনে দিনে কতসংখ্যক ট্রেন যাতায়াত করলে সব যাত্রীকে থার্মাল স্ক্রিনিং করা যাবে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্সসিং বজায় রাখা যাবে, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।