দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে ঘনীভূত হওয়ার নিম্নচাপ আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিণত হবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আইএমডি-র পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় দিক বদলে ধেয়ে আসবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এরপর আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৮ ই মে থেকে আগামী বুধবার অর্থাৎ ২০ মে এর মধ্যে এটি প্রবল বেগে প্রবাহিত হবে উত্তর ওড়িশা উপকূলের উপর দিয়ে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রথমে ৬৫ থেকে ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এরপরে তা বেড়ে হবে ৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ক্রমেই এটি দক্ষিণপূর্ব দিক ধরে এগোতে থাকবে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপশ্চিমে। সেখানে পৌছানোর পর তার গতি বেড়ে হবে ৯০-১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এরপর ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ নিয়ে প্রবাহিত হবে। ১৮ মে সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ অঞ্চলে ওই ঝড়ের গতি বেড়ে হবে ১২৫-১৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা, যা ধীরে ধীরে বেগ বাড়িয়ে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হবে।
বঙ্গোপসাগরের উত্তরে এর গতি ১৬০-১৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে বেরে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পরিণত হবে। এই পুরো ব্যাপারটি ঘটবে ১৯ শে মে। এরপর আগামী ২০ মে সকালে আমফানের গতি ১৫৫-১৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে বেরে সর্বাধিক ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যে থাকবে। আগামী ২০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার আগাম আশঙ্কা করে ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি দল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল এবং রাজ্যের অগ্নি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৩৩৫ ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর কেও আগাম প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।