রেল স্টেশন থেকে এক নতুন দুনিয়ায় স্বপ্ন জগতে পা রাখার যাত্রাপথের কাহিনী দেখেছিলাম আমরা। এক পেয়ার কা নাগমা হে এই গানটিকে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিলেন রানু মন্ডল। পরিবার-পরিজন পরিত্যক্ত রানাঘাট স্টেশনে পড়ে থাকা রানু মন্ডল এর গুন দেখে তাকে নিয়ে নেন হিমেশ রেশমিয়া। তারপর হিমেশের পরিচালনায় রানুর গলায় রেকর্ড করা নতুন গান যা সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রানু মন্ডলের মত সহায় সম্বলহীন মানুষকে তার প্রতিভার জন্য পরিচিতি পেতে দেখে আনন্দিত হয়েছিলেন নেটিজেনরাও।
কিন্তু কথায় আছে অহঙ্কার পতনের মূল-খ্যাতি পেতে না পেতেই তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা যেতে থাকে। যে অতীন্দ্র চক্রবর্তী তাকে প্রথম দিশা দেখিয়েছিল পরবর্তীতে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। দিনে দিনে তার কথায় প্রকাশ পেতে থাকে আত্ম অহঙ্কার। তাই তার যতটা দ্রুতগতিতে উত্থান হয়েছিল পতন টাও ঠিক ততটাই দ্রুত। হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে যেতে থাকলেন তিনি। এসবের জন্যই মানুষ তাকে অপছন্দ করতে থাকেন।
বর্তমানে দেখা গেছে অত্যন্ত অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন আবার ভিক্ষা করেই দিন চলছে তার। মেয়েও তার খোঁজ-খবর নেয় না।
সাংবাদিকরা তার অহংকার নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন একদল মানুষ সরলতাকে অহংকার ভেবে ভুল করে। তার দুর্বলতাকে মানুষ অহংকার বলে দাগিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আপাতত সেই পুরনো ছন্দে দিন কাটছে তার। তবে কি অচিরেই হারিয়ে গেলেন তিনি!!