এক সাধারন মানুষের মধ্যেও যে কতো অসাধারনত্ব লুকিয়ে রয়েছে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে পাড়ি দিয়েছে এই মেয়েটি। বয়স মাত্র 15, পড়াশোনায় বিশেষ মেধা নেই, কিন্তু যা আছে তা হল কন্ঠসুর। হুগলি জেলার ইটাচুনা গ্রামের আদিবাসী পরিবারের মেয়ে চাঁদমনি হেমব্রম। বাড়িতে তিন বোন ও মাকে নিয়ে খুব অভাব এর সংসার চলে। বর্তমানে সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আর সম্প্রতি গানে তারই অসামান্য দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রথাগত গানের স্কুল বা তালিম কোনোটাই পায়নি সে কিন্তু মনে মধ্যে সযত্নে লালিত করেছে গান। রবীন্দ্র সংগীত হোক বা আধুনিক নেহা কক্করের হিন্দি গান সবেই অবাধ বিচরণ তার। সবধরনের গানেই মাতিয়ে তুলেছে সে, হিল্লোল তুলেছে সকলের মনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাত ধরে তার কন্ঠসুর পৌছে গেছে বলিউড পর্যন্ত। এক জৈনিক শিল্পী আইশান অদ্রির মিউজিক ডিরেকশনেও কাজ করেছে সে। পাঞ্জাব থেকে কলকাতায় এসে পান্ডুয়ার সেই চাদমনির গান রেকর্ড করেছেন।
মে মাসে বলিউড বিখ্যাত গায়িকা নেহা কাক্কারের “ও হামসাফার” গানটি গাওয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল চাঁদমনি। সেসময় গ্রামে এক ব্যক্তি ত্রান দিতে এসে তার নজরে পড়ে চাঁদমনির কাছে। এরপর সেই গান চলে যায় দুর্গাপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত ধীবরের কাছে। তারপরই ভাইরাল হয়ে যায় সে। সুরকার আয়শনের চাঁদমনির গলা এতটাই পছন্দ হয় তিনি নিজে এসে তার গানের রেকর্ড করেন। তার গলায় এখন জুদাই বেশ জনপ্রিয়। অনেকে তার নাম দিয়েছেন নেহা কক্কর জুনিয়র। প্রত্যেক মানুষ তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদ করছেন।