বলিউডের জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে সব সময়েই প্রচারে থাকেন বরুণ ধাওয়ান। অভিনয় থেকে তার দুষ্টু মিষ্টি লুকে কাত তার হাজারো মহিলা ফ্যানেরা। কিন্তু হঠাৎ করেই ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে গেলেন বরুণ ধাওয়ান। আরে না না বরুণ নয় বরুণা ধাওয়ান। গোলাপি ড্রেস পরে সকলের সামনে হাজির বরুণা ধাওয়ান। কিন্তু কি এমন হলো ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে গেলেন বরুণ?
বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার গোবিন্দার মতো স্টারের জুতোয় এবার পা গলাচ্ছেন বরুণ ধাওয়ান। কারণ আসছে নতুন মোড়কে পুরোনো কুলি নম্বর ১। নব্বইয়ের দশকে তৈরি গোবিন্দা ও করিশ্মা কাপুর অভিনীত সুপারহিট কমেডি ছবি কুলি নম্বর ১-র রিমেক করছে ডেভিড ধওয়ান। অন্যদিকে ফের একবার বাবা ডেভিড ধওয়ানের পরিচালনায় কাজ করলেন বরুণ। শুধু তাই নয় আরও একটি চমক প্রথম জুটিতে দেখা মিলল বরুণ-সারার। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বরুণ ধওয়ান ও সারা আলি খান অভিনীত কুলি নম্বর ওয়ানের ট্রেলার। ট্রেলারে সবথেকে বেশি চর্চিত হয়েছিল জলের তলায় সারা আর বরুণের ঠোঁটঠাসা চুম্বন। কিন্তু এবার কি হবে? বরুণ যে বরুণা হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে গোলাপি রঙের ড্রেস, ঠোঁটে লিপস্টিক, চোখে কাজল, মাসকারা, আর বরুণ ধাওয়ানের মাথায় চুল লাগানো হচ্ছে অভিনেতার এই নতুন পরিচয় প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন সারা আলি খান। বরুণের মেয়ে সাজার ভিডিওটি তৈরি করে সারা বলছেন বরুণ ধাওয়ানের নাম বদলে গেল সে আজ থেকে বরুণা। তিনি সব থেকে হট নার্স। আসলে এই ভিডিওটি সেই ছবিরই বিহাইন্ড দ্য সিন বলে মনে করছেন অনুরাগীরা। যদিও সারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি।বোঝা যাচ্ছে, শুটিংয়ের আগে মেকআপ করছেন বরুণ যেখানে থাকেন নার্সের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
বলে রাখি, নতুন মোড়কে কুলি নাম্বার ওয়ানের ট্রেলারে দেখা যায় সারা আলি খানের জন্য বিবাহযোগ্য পাত্র খুঁজছেন পরেশ রাওয়াল। সেই পাত্রকে হতে হবে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, এরপর তিনি মেয়ের জন্য খুঁজে পেলেন- ‘ইন্ডিয়ার রিচি রিচ হাজব্যান্ড’। যে বুর্জ খলিফার মালিক, ভবিষ্যতে হয়ত হোয়াইট হাউজও কিনে নেবে! সিঙ্গাপুরের রাজপুত্র কুওয়ার রাজ প্রতাপ সিংয়ের অবতারে সারা ও পরশে রাওয়ালের সামনে এলেন বরুণ। নেচে-গেয়ে সারা ও পরেশ দুজনেরই মন জিতে নিল সে। যদিও এর পর কী ঘটতে চলেছে তার জন্য অবশ্যই দেখতে হবে নতুন মোড়কে কুলি নাম্বার ওয়ান। এই ছবিতে বরুণ,সারা, পরেশ রাওয়াল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন জনি লিভার, রাজপাল যাদব এবং জাভেদ জাফরি।