নেই কোনও মিউজিক, সম্পূর্ণ খালি গলায় অসাধারন গান গেয়ে মুগ্ধ করলো বাঙালি কন্যা, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও
রেল স্টেশন থেকে এক নতুন দুনিয়ায় স্বপ্ন জগতে পা রাখার যাত্রাপথের কাহিনী দেখেছিলাম আমরা।এক পেয়ার কা নাগমা হে এই গানটিকে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিলেন রানু মন্ডল। তবে তাকে পরিচিতি দেওয়ার মূল কান্ডারী ছিলেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী। রানু মন্ডলের গান তিনিই ভিডিও করে সোশ্যালে দেন। যার ফলে লতা কন্ঠী হিসাবে প্রায় রাতারাতি বিখ্যাত হন তিনি। পরিবার-পরিজন পরিত্যক্ত রানাঘাট স্টেশনে পড়ে থাকা রানু মন্ডল এর গুন দেখে তাকে নিয়ে নেন হিমেশ রেশমিয়া।
রানুর মতো আমাদের চারপাশে এরকম অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি রয়েছে কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্য যা অন্তরালে থেকে যায়, এই নির্মম সত্যিটা উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন অতীন্দ্র।
এরপর এই সোশ্যাল ওয়ার্কার অতীন্দ্র একটি পেজ চালু করেন যেখানেই সেইসব মানুষ কে প্রাধান্য দেন যাদের প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে নিজেকে পরিচিতি দিতে পারেননি। এই মানুষদের প্রতিভাকে স্বিকৃতি দিতে তিনি ট্যালেন্ট হাঙ্ক নামে এক অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। যেখানে প্রথম 3 জন বিজয়ী কে তিনি সকলের সামনে ঘোষণা করেন।
এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন বালুরঘাটের বনানী দত্তকে। কোন বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই এই তরুণী আশা ভোঁসলের গাওয়া চুরালিয়া হে তুমনে যো দিলকো গানটি অনবদ্য গেয়েছেন তা সকলকে অবাক করতে বাধ্য।
এতো কম বয়সে এতো কঠিন গান যেভাবে সহজে অবলীলায় দিয়ে দিয়েছেন তাতে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও কুর্নিশ জানিয়েছেন অতীন্দ্র চক্রবর্তীকে জান আন্তরিক প্রচেষ্টায় এত সুন্দর প্রতিভা আমাদের সামনে আসতে পারছে।