এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিল যেখানে সন্ধ্যা হলেই সিরিয়াল চলে না, সিরিয়ালের প্রভাব মানুষের জীবনে এতটাই পড়ে যে সিরিয়ালের প্রিয় চরিত্র সাথে কোন ভাল ঘটনা ঘটলে বাড়িতে ভাল রান্না হয়, আবার কোন খারাপ ঘটনা ঘটলে মা কাকিমা দের মন রীতিমতন খারাপ হয়ে যায়। আর তেমনই একটি সিরিয়াল ‘মোহর ‘ স্টার জলসা তে সন্ধ্যা আটটার সময় সিরিয়ালটি সম্প্রচারিত হয়। বাড়ির গৃহিণীরা প্রায় মুখিয়ে বসে থাকে সিরিয়াল টি দেখার জন্য।
সিরিয়ালে প্রতিদিনই কিছু না কিছু নতুন মোড়ক দেখা যায় দর্শকদের নজর আটকে রাখার জন্য, পরবর্তী এপিসোডে যাতে দর্শক টিভির পর্দা খুলতে বাধ্য হয় তার জন্য কিছু-না-কিছু সাসপেন্স রেখেই সিরিয়ালের পর্বটিকে শেষ করা হয়, আর মোহর সিরিয়ালেও দেখা গেল এমনই কিছু মোড়ক।
আত্মহত্যা করতে গেছে মোহর, রীতিমতন অচৈতন্য অবস্থায় বাঁচবে কি মরবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই, কারণ সিরিয়ালের নায়ক শঙ্খ তাকে সন্দেহ করেছে। মোহর এবং শঙ্খ এর ফ্যান ফলোইং এতটাই বেশি যে তাদেরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে নানান ফ্যানপেজ, আর তেমনই এক পেজ থেকেই জানা গেল আত্মঘাতী হয়েছে মোহর।
তবে কেন আত্মঘাতী হতে গেলেন মোহর? মোহর এবং শঙ্খের সম্পর্ককে খারাপ করার জন্য প্লান মাফিক শঙ্খ-র ছোটকা ও কলেজের একজন প্রফেসার মিলে মোহরের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। সেটি খেয়ে ঘুমিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে মোহর, তারপরই মোহরকে একটি রুমে শুইয়ে দেয় ছোটকা এবং ওই প্রফেসর। রাহুলের সাথে মোহর কে এক রুমে দেখে শঙ্খ তাকে ভুল বোঝে। যায় ফলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মোহর। এখন অবশ্য শঙ্খ নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তবে মোহর কি বেঁচে উঠবে তাই নিয়েই সংশয়। আর সেই কারণেই রাত আটটায় মোহর সিরিয়ালে চোখ রাখবে প্রত্যেক সিরিয়াল প্রেমীরা।