বিনোদন

‘গত মার্চে সব্যসাচীর সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল’, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতিচারণ মায়ের

Advertisement
Advertisement

Aindrila Sharma Death Anniversary: দেখতে দেখতে কেটে গেল একটা বছর। তবুও অনুরাগীদের মনে আজও ঐন্দ্রিলা (Actress Aindrila Sharma) সেই হাসি মুখটা আজও ভেসে ওঠে। আর তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বিশেষ করে তার মা এর মনের অবস্থা যে কেমন সেকথা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। সেই লড়াকু মেয়ে ঐন্দ্রিলা, যার অসামান্য মানসিক জোরের কাছে মারণ রোগ ক্যান্সার ও হার মেনেছিল। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে গত বছর এই দিনেই হঠাৎ থেমে গিয়েছিল তার জীবনের স্পন্দন। যে মা সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন, কোলে পিঠে করে সন্তানকে বড় করেছেন সেই মাকেই আজ পালন করতে হচ্ছে সন্তানের মৃত্যুবার্ষিকী। তাই বারবার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মাকে বলতে শোনা যায় ‘আর বাঁচতে চাই না।’

Aindrila Sharma Death Anniversary

মায়ের আদরের ‘মিষ্টি’ ইহলোক ছেড়ে চলে যাবার পর তা মা একেবারেই ভালো নেই। তাই তিনি কেমন আছেন একথা জিজ্ঞেস করার পর ডুকরে কেঁদে উঠে তিনি বলেন “আছি। তবে ভালো নেই। গত বছর এই নভেম্বর মাস। এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, প্রতিটা মুহূর্ত আজও আমার চোখের সামনে ভাসে। অসুস্থ হোক তবু প্রাণটা তো ছিল। আর আমরা শুধু আশায় দিন গুনছিলাম। এই বুঝি ঠিক হবে। ও যা লড়াকু তাতে ঠিক ফিরে আসবে মন বলত। সিপিআরটা দিতে দিতে বারবার মনে হত, এই তো আমার মেয়েটা এবার ঠিক হয়ে যাবে। ওর কষ্টটা দেখতে পাচ্ছিলাম না আর যে।”

Aindrila Sharma Death Anniversary

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি জানান যেদিন ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হলেন তার কদিন পরেই শুটিংয়ের জন্য গোয়ায় (Goa) যাওয়ার কথা ছিল তার। ব্যাগ গোছানো হয়ে গিয়েছিল। ১ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। কিন্তু এই অসুস্থতা এসেছিল হঠাৎ করেই। তার মায়ের কথায় জানা যায় সেদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করে তার পোষ্য দুটিকে অর্থাৎ বোজো-তুতুনকে ব্রাশ করিয়ে দিব্যি খাইয়ে দিইয়েছিলেন তিনি। আর মায়ের সাথে সেদিন কত গল্প করেছিলেন। সেদিনের কথাগুলো আজও বুকে বাজে তার মায়ের।

Aindrila Sharma Death Anniversary

এদিন কথা বলতে বলতে অভিনেত্রীর মায়ের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর (Sabyasachi Chowdhury) বিয়ে ঠিক হওয়ার বিষয়টি। তিনি বলেন “ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন ছিল মেয়েটা। সব্য একটু বাইরের খাবার খেতে ভালোবাসত বলে কত বকাবকি করত। সব্য বলত ঠিক আছে বিয়ের পর আর খাব না। ২০২৩ এর ১২ মার্চ ওদের বিয়ের দিন ঠিক করেছিলাম। সেদিন সেকেন্ড রবিবার ছিল। সেরকম কিছু করতাম না। তবে ওই একটু রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে খুব কাছের কয়েকজনকে নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান ঠিক করে রেখেছিলাম। সব্যসাচী নভেম্বরেই চেয়েছিল বিয়েটা করতে। ওর বাড়ি থেকেও বলেছিল। কিন্তু মিষ্টি বলল, না মা আমার চুলটা দুমাসে আর একটু বড় হয়ে যাবে। সুন্দর হয়ে তারপর সাজব। তখনই বিয়ে হবে। সেইমতোই সব ঠিক করে রাখা ছিল।”

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles