ইতিমধ্যেই বিয়ের ফুল ফুটেছে তৃণার জীবনে। রিল লাইফে বিয়ে করে সংসারও শুরু করে দিয়েছেন গুনগুন ওরফে তৃণা। তবে এবার পালা রিয়েল লাইফে বিয়ে। আগামী বছরই চার হাত এক হবে নীল তৃণার। দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের তোরজোর। আর এবার মামার বাড়িতে আইবুড়ো ভাত খাওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু তৃণার নতুন জীবন।
নীল-তৃণার সম্পর্কের বয়স ১০ বছর। সেই ১০ বছরের প্রেম এবার পাবে পরিণতি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ নীল চিনার বিবাহ আসর বসছে সিটি ক্লাবে। তবে ভালবাসার দিন অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে গ্র্যান্ড রিসেপশন। ইতিমধ্যেই হানিমুন ডেস্টিনেশনও পাকা হয়ে গিয়েছে। গ্রীসেই মধুচন্দ্রিমায় যাবেন এই জুটি। রিয়েল লাইফ পার্টনার নীল ভট্টাচার্যর সঙ্গে খুনসুটিতে সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন তৃণা। কখনও রিল কখনও রিয়েল একের পর এক ভিডিওতে বাজিমাত করছে সেলেব জুটি।
এরই মাঝে মামাবাড়িতে আইবুড়ো ভাত খেয়ে ব্যাচেলার তকমা ঘোচালেন তৃনা। কাসার থালায় সাজানো ভাত,ডাল,সুক্তো, পাঁচ রকমের ভাজা, রকমারি মাছ,পনীর, মিষ্টি, পায়েস। সব চেটেপুটে খেলেন তৃণা। নীল শাড়িতে সেজে ভাত খেলেন নীলের তৃণা। খাবার শুরুর আগে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন অভিনেত্রী।
নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে হঠাৎ মামাবাড়ি থেকে আইবুড়োভাত খাওয়া কেনও শুরু করলেন তৃণা? এই ব্যাপারে তৃণার বক্তব্য, ‘আমাদের বাড়িতে নিয়ম হল প্রথম আইবুড়ো ভাত মামার বাড়িতেই খেতে হয়। এই শুরু হল। আগামিতে একের পর এক আইবুড়ো ভাতের নেমন্তন্ন রয়েছে। পরিবার থেকে বন্ধু-সবাই রয়েছে তালিকায়। সব জায়গায় গিয়ে খেতে হবে’। কিন্তু আপনারা কি জানেন নীল তৃণার প্রেমের সূত্রপাত কিভাবে?
আসলে প্রথমবার এমবিএ ক্লাসের আলাপ দুজনের। নীলের জন্য বলা যায় লাভ অ্যাট ফাস্ট সাইট, অন্তত প্রথম দিনই তৃণাকে মনে ধরেছিল তাঁর। যদিও নীলকে নাকি ক্লাসে নোটিশই করেননি তৃণা। যদিও হবু স্ত্রীর মনে ঠিক জায়গা করে নিয়েছিলেন নীল। তবে চড়াই-উতরাই কম আসেনি এই সম্পর্কে। দুই ভাগে বিভক্ত তাঁদের প্রেম কাহিনি। ২০১১ সালের শেষের দিকে প্রেম সম্পর্কে সাময়িক বিরতি এসেছিল, সেই সময় পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে চলে যান তৃণা। তবে ভাগ্যের খেল বোধহয় একেই বলে।
কলকাতায় ফেরার পর দুজনেই একই পথের পথিক হয়ে উঠেন। শুরু হয় অভিনয় কেরিয়ার। ২০১৫ সালে ফের একে অপরের কাছে আসা। এরপর ২০১৬ সালের ৮ই জুন নীলের জন্মদিনের দিন তৃণা বুঝতে পারেন নীলকে ছাড়া সে থাকতে পারবেন না। তাই সোজাসুজি আই লাভ ইউ বলে দেন। তবে তখন নীল কিন্তু হ্যাঁ, বলেনি।
বেশ কয়েকটা মাস সময় নিয়েছিলেন নীল। অবশেষে নতুন বছরের তৃণার জন্মদিনে নীল প্রেম প্রস্তাব দেন নিজের মনের মানুষকে। মনের কথা মুখে আনতে নীল দ্বিতীয় পর্যায়ে সাত মাস সময় নিলেও তৃণা কিন্তু সাত সেকন্ড সময়ও নষ্ট করেননি হ্যাঁ বলতে।