৪২০ টাকার টিকিটে মুম্বাই আসা সোনু, আজ কয়েকশো কোটি টাকার মালিক! তার জীবনী জানলে চোখে জল আসতে বাধ্য
রিল নয় রিয়েল লাইফে ‘সুপার হিরো’ সোনু সুদ। পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্ট দেখে প্রাণ কেঁদে উঠেছিল বলিউড তথা দক্ষিণী তারকা সোনু সুদের। তাই তাঁদের দুঃখে ছুটে গেছেন এই অভিনেতা। মুম্বাইসহ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য দিনরাত এক করে দিয়েছেন তিনি। সেই অসহায় মানুষগুলোর কাছে সোনু সুদ যেন দূতের মতো। শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যই নয়, আরও নানান ভাবে করোনার সংক্রমণ রুখতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনু সুদ। মুম্বাইয়ে নিজের বিলাসবহুল হোটেল খুলে দিয়েছেন কোয়ারেন্টিন সেন্টারের জন্য।
কিন্তু আপনি কি জানেন, সোনু সুদ আজ কিভাবে সুপারস্টার সোনু সুদ হলো? কিভাবে সে মুম্বাই এসেছিলো? পুরোটি জানলে আপনার চোখে জল আসতে বাধ্য। পাঞ্জাবের মোগা শহরে ১৯৭৩ সালের ৩০ জুলাই মাসে সোনু সুদের জন্ম। সোনু যশবন্তরাও চহ্বন কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার আগে কয়েক দিনের জন্য কাজ করেছেন তাঁর বাবার শোরুমেও। মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে করে সোনু মুম্বাই এসেছিলেন। এবং ছয়জনের সঙ্গে এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতে হতো তাকে।
নিজের খরচ জোটাতে কাজ নিয়েছিলেন বেসরকারি অফিসে। অফিসের কাজে ঘুরতে হতো মুম্বাইয়ের নানা প্রান্তে। বরিভেলি থেকে চার্চগেট যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেনই ছিল তাঁর পরিবহন। প্রতি মাসে বেতন পেতেন মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা। সে সময় কম কষ্ট করেননি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সোনু সুদ। তারপর ১৯৯৯ এ খুলে গেলো সোনুর ভাগ্য। ‘কল্লোজহাগর’ নামে তামিল সিনেমা দিয়ে শুরু করলেন তার অভিনয় জীবন। তারপর ২০০১ সালে ‘সাহেদ ই আজম’ সিনেমায় ভগৎ সিংয়ের রোলে দুরন্ত অভিনয় করে বলিউডে পা রাখলেন তিনি। তারপর দিয়ে গেলেন একের পর এক হিট ছবি। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় দুই দশক ধরে দক্ষিণী ও বলিউড দুনিয়ায় দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন সোনু সুদ।
সেই সাড়ে চার হাজার টাকা পাওয়া সোনু আজ প্রায় ১৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। অভিনয় ছাড়াও তিনি মডেলিং, অ্যাড ও হোটেল ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত।