সোশ্যাল মিডিয়ায় বদলে দিলো চাঁদমণির জীবন, আদিবাসী মেয়ে এখন বলিউড স্টার, ভাইরাল ভিডিও
প্রতিদিন কত কত সুপ্ত প্রতিভা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সামনে আসছে। কখনো কখনো দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই অনেকে সেলিব্রেটির তকমা পেয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ভর করেই বহু মানুষ পৌঁছে যাচ্ছে বড় দরজায়। লকডাউনের সময় হুগলির চাঁদমণি হেমব্রম নেহা কক্করের ‘ও হামসাফার’ গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিলেন। নেটিজেনরা তার গান শুনে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার এই কিশোরী বলিউড থেকে ডাক পেল।
চাঁদমণির বাড়ি ইটাচুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলটি নামক গ্রামে। চাঁদমণি দশম শ্রেণীতে পড়ে। এই বলিউডে ডাক পাবার পেছনে দুর্গাপুরের শিক্ষক চিরঞ্জিত এবং হুগলির শিক্ষক শ্যাম বাবুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। খুব অল্প বয়সে চাঁদমণি তার বাবাকে হারায়।
চাঁদমণির পরিবারে রয়েছে মা আর দুই বোন। তার বাবা মারা যাবার খুব কষ্টে দিন চলে তাদের। চাঁদমণি লেখাপড়া করার পাশাপাশি মায়ের সাথে ক্ষেতে কাজ করতে যেত। গত মাসে নেহা কক্করের ‘ও হামসাফার’ গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় চাঁদমণি। তারপরই তার ডাক আসে পাঞ্জাবের বিখ্যাত শিল্পী আয়সান আদ্রির তরফ থেকে। সম্প্রতি আয়সান আদ্রির মিউজিক পরিচালনায় চাঁদনীর গাওয়া ‘জাদুইয়া বে’ গানের টিজার বের হয়েছে।
গানের টিজারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। নেটিজেনরা গানের টিজার দেখে প্রসংশায় পঞ্চমুখ। জানা গিয়েছে গানটি পুজোর সময় রিলিজ হবে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান আইডল সিজন 12 থেকে চাঁদমণির অফার এসেছে। এছাড়া বলিউডের পাশাপাশি টলিউডে গান গাওয়ার জন্য চাঁদমণির অনেক অফার আসছে। টলিউডে চাঁদমণির গাওয়া গান ‘ভালোবেসেছি তাই হেরেছি’ গান এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষায়।