বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার কাটাই বিদ্ধ সকলে করোনার বিষ নজর পড়েছে সমস্ত কিছুর উপরে। অনেক মানুষকে প্রান হারাতে হচ্ছে এর কবলে পড়ে। আর এই মারন রোগের কারনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গাপুজোতে প্রতি বছরের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে ভাটা পড়তে চলেছে। পুজো উদ্যোক্তাদের প্রায় বেশিরভাগ পুজোর বাজেট কাটছাঁট করে দিচ্ছেন আর অনেকেই করোনা মোকাবিলায় তাদের বাজেট থেকে অর্থ দিয়ে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
এরকম এবার কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন অধিবাসীবৃন্দ পুজো কমিটির অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। এই এলাকার করোনা রোগীদের আপৎকালীন পরিষেবা দিতে এগিয়ে এলেন এখানের অধিবাসীবৃন্দ। ধর্মের আগে মানুষ এই মন্ত্রে ব্রতী হয়ে পুজোর বাজেট কাটছাঁট করে করোনা রোগীর সেবায় ব্রতী হতে চলেছে এই পুজো কমিটি। পুজোর বাজেটের টাকায় একের পর এক অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনেছে এই ক্লাব। করোনা আবহে এলাকায় শ্বাসকষ্ট ভোগা মানুষের প্রাণ বাঁচাতে বিনামূল্যে যাতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া যায়, করোনায় আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় এটাই একমাত্র লক্ষ্য উদ্যোক্তাদের।
এই প্রসঙ্গে সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্তীর কথায় পুজোতো সারা জীবনই হবে, পুজো এবারও হবে। কিন্তু পুজোর বাজেটের কাটছাঁট করে যদি করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানো যায় তাতে এর থেকে মহৎ কাজ কিছু হতে পারেনা। পুজো জৌলুসহীন হলেও কিছু মানুষ সুস্থ হবেন। তিনি বলেন “আমরা এখন ভাবছি মানুষের পুজোতে মানুষ আগে বাঁচুক। মানুষ বেঁচে থাকলে সুস্থ থাকলে পুজো ভালো হবে।”
প্রসঙ্গত তিনি জানিয়েছেন তাঁদের ক্লাবের 7 জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে জানা যায় করোনা রোগীদের সবচেয়ে প্রয়োজন অক্সিজেন সিলিন্ডার, তাই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়ে গেছে, আরো কেনা হচ্ছে। বাড়িতে যদি কোনো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন, তীব্র শ্বাসকষ্ট জনিত উপসর্গ দেখা যায় তাহলে এই ক্লাবের নাম্বারে ফোন করলেই সদস্যরা সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন অসুস্থ মানুষের কাছে।
এছাড়াও দশটি পালস অক্সিমিটার রয়েছে ক্লাবে যা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দেখার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে। 9830862255 নম্বরটি ক্লাবের পূজা কমিটি সেক্রেটারি রুমন চন্দের। এই নম্বরে ফোন করলে বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার।