সোনার চেয়েও দামি এই ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ, বহু প্রাচীনকাল থেকেই ভারতভূমে চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই ছত্রাক। বলা হয় অবিশ্বাস্য এই ওষুধ খেলে শরীর একেবারে রোগ মুক্ত হয়ে যায় আজ সেই হিমালয়ান ভায়াগ্রা এবার বিলুপ্তির পথে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কন্সেরভেশন অফ নেচার তরফের প্রকাশিত তালিকায় লাল তালিকার আওতাভুক্ত করা হয়েছে এই প্রজাতিকে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ওই বিশেষ প্রজাতির ভায়াগ্রার পরিমাণ গত 15 বছরে কমে গিয়েছে 30 শতাংশের কাছাকাছি।
ওই ফাঙ্গাস এর অপর নাম কীরাজারি, যা মূলত উত্তরাখন্ডে পাওয়া যায়। এই ছত্রাক এর পরিমাণ ক্রমেই কমছে। একাধিক বিশেষজ্ঞদের তরফে জানানো হয়েছে একে লাল তালিকাভুক্ত করার একটাই কারণ যাতে সরকার এই বিষয়গুলি দেখভাল করতে পারে, সতর্কভাবে খেয়াল রাখতে পারে। তবে লাল তালিকাভুক্ত করায় সমস্যা হবে উত্তরাখণ্ডের একাধিক মানুষের কারণ সেখানকার গ্রামের বাসিন্দারা দিন গুজরান করে এই ফাঙ্গাস সংগ্রহের মাধ্যমে। স্থানীয় বাজারে তাই প্রতি 10 লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় এই ফাঙ্গাস।
হিমালয়ান ভায়াগ্রা কে মহৌষধি বলেই মানা হয় এর বৈজ্ঞানিক নাম Ophiocordyceps sinensis. জলবায়ু পরিবর্তনের কারনেই ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে এই ইয়ারচাগুম্বা বা হিমালয়ান ভায়াগ্রা। বিভিন্ন জায়গায় এই ছত্রাক সেদ্ধ করে চা বানানোর বা স্যুপ বানিয়ে খাওয়ার রীতি আছে। অনেকেই মনে করেন এই ছত্রাক খেলে যৌন অক্ষমতা বা ক্যান্সারের মত সমস্যা সেরে যায়।
সারা পৃথিবীতেই ছত্রাক পাওয়া যায় শুধুমাত্র হিমালয় ভারত-চীন আর নেপালে। এখনো পর্যন্ত কৃত্রিমভাবে ছত্রাক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তিব্বতি ও চীনা ভেষজ চিকিৎসকদের দাবি এটি খেলে যৌন আনন্দ আরো উপভোগ করা যায়। আর এসব কারণেই ছত্রাকের বিপুল চাহিদা। বেইজিংয়ের সোনার থেকেও তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হয় এ ছত্রাক।