এ যেন মেঘ না চাইতে জল। করোনা কবলিত কঠিন সময় যখন দুশ্চিন্তায় প্রতিটা দিন কাটাচ্ছে দেশবাসী, ঠিক সেই সময়ে ঝাড়খণ্ডে খোঁজ মিলল টাংস্টেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের। চিনের উপর নির্ভরশীলতার দিন শেষ। টাংস্টেনের জন্য ভারতকে আর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না চিনের।
এক সময়, টাংস্টেনের ব্যবহার বেশি হত বৈদ্যুতিক বাল্বগুলির ক্ষেত্রে। কিন্তু বর্তমানে ফাইটার জেট, রকেট, বিমান, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ড্রিলিং এবং কাটার সরঞ্জাম, স্টেইনলেস স্টিল, আলোক সজ্জা ও দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা হয়। তবে, এতদিন ভারতকে নির্ভর করতে হতো চিনের উপর।কারণ টাংস্টেনের বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ চিন। কিন্তু সেই দিন শেষ। আর নির্ভর করতে হবে না চীনের উপর।
ঝাড়খণ্ড এমনিতেই খনিজ সম্পদের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এবার সেই খনিজ ভান্ডারে খোঁজ মিলল টাংস্টেনের। জিওলজিকাল সার্ভে ওফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, সালাতুয়া এলাকায় এই টাংস্টেনের খোঁজ মিলেছে যা গঙ্গওয়া জেলায় অবস্থিত। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে স্টক সম্পর্কে জানিয়েছে জিএসআই। জানা যাচ্ছে, এই বছরের শেষেই ম্যাপিং ও ড্রিলিং এর কাজ শুরু হবে। বর্তমানে এই খনিজ সন্ধান জি-৩ পর্যায়ে রয়েছে বলে খবর। তবে, কত বড় খনি জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু বছর আগে রাজস্থানের নাগৌড় টাংস্টেন আবিষ্কৃত হয়েছিল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের নাগপুর এমনকি বাংলার বাঁকুড়াতেও টাংস্টেন থাকার খোঁজ মিলেছে। এই প্রসঙ্গে ভূতাত্ত্বিক অনিল সিনহা জানান, ‘ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য হ্রাসের ক্ষেত্রে টাংস্টনের নতুন স্টক খুব কার্যকর হবে। ঝাড়খণ্ডে টাংস্টেন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশ স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরতা থেকে মুক্তি পাবে’।