করোনা সংক্রমন দীর্ঘদিন ধরে যে লকডাউন চলছিল তার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এই কারণে এই সময়ে রেলের রোজগার বন্ধ ছিল। যার ফলে রেলের কোষাগারে পড়েছে টান। জানা গেছে লকডাউন এর মধ্যে রেলের আয় কমেছে প্রায় ৫৮ শতাংশ।
তাই রেলমন্ত্রক থেকে খরচ কমানোর জন্য রেলওয়ে জোনগুলিতে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছে। রেলমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, বছর ত্রিশ এর পুরনো ডিজেল ইঞ্জিন বিক্রি করে দিতে হবে জ্বালানির খরচ কমানোর জন্য। এছাড়া নতুন গাড়ি, কম্পিউটার, প্রিন্টার এবং বিভিন্ন নতুন আসবাব কেনা বন্ধ করতে হবে।
খরচ কমানোর জন্য রেলমন্ত্রক থেকে আরও কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। যেমন রিজার্ভেশন কাউন্টারে কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে তাদের অন্য কাজে ব্যাবহার করতে হবে, দফতরে নয়া পদ তৈরি এখন বন্ধ রাখতে হবে, যে সমস্ত ব্রাঞ্চ লাইনে আয় হচ্ছেনা সেগুলো বন্ধ করার কথা ভাবছে রেলমন্ত্রক। এছাড়া ২ বছরের মধ্যে যে সব পদ তৈরি হয়েছে সেগুলোতে নিয়োগ না হয়ে থাকলে পদগুলি তুলে দিতে হবে।