গুপ্তধন কথাটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে পুরনো কোন বাড়ি বা পুরনো কোন ম্যাপ থেকে রহস্যভেদ করে ঐতিহাসিক কোনো বাড়ির ভিতরে সিন্দুকে থেকে সোনার কয়েন বা গয়না উদ্ধার করা ঠিক যেমন সিনেমাতে দেখায়। আর এই রকমই ঘটনা যদি চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায় তাহলে কেমন লাগবে এমনই কিছু অসম্ভব ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশবপুরে আনন্দপুর গ্রামে। প্রায় 200 বছরের পুরনো মাটির বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে রুপোর কয়েন।
প্রায় 200 বছরের পুরনো মাটির বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে রুপোর কয়েন। শুধু একটা দুটো নয় কয়েক হাজার রুপোর কয়েন পাওয়া গেছে সেই বাড়ির দেওয়াল থেকে। আনন্দপুর জেলেপাড়ায় পুরনো মাটির বাড়ি ছিল রমন কুন্ডুদের প্রায় 200 বছরের পুরনো সেই বাড়ি ছেড়ে মৎস্যজীবী রমনরা এখন অন্য বাড়িতে থাকে। ঘূর্ণিঝড় আমফানে পুরনো বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই ওই বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শনিবার দুপুরে জেসিবি মেশিন দিয়ে বাড়ি ভাঙার শুরু হয় বিকেল নাগাদ একটি মাটির দেয়াল ভাঙার সময় মেলে রুপোর মুদ্রা। মুদ্রার ছবি দেখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা সুতপা সিংহ বলেন এই মুদ্রা বঙ্গভঙ্গের বছরের এগুলি ওয়ান রুপি কয়েন।
লকডাউন এর মধ্যেও এই খবর বাতাসে ভেসে যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি আর খবর ছড়াতেই লকডাউন শিকেয় তুলে গ্রামবাসী জড়ো হয়েছেন সেই 200 বছরের পুরনো মাটির বাড়ির সামনে। ওই রৌপ্য মুদ্রা নেওয়ার জন্য পুরোপুরি মারামারি ছবি শুরু হয়ে গিয়েছিল। কতগুলি রুপা মিলেছে তা এখনও স্পষ্ট করতে পারা যায়নি, কারণ যে যতগুলো পেরেছে নিয়ে পালিয়ে গেছে। ওই পরিবারের সদস্য তারক কুন্ডু বলেছেন যে বাড়িটা আমাদের অথচ আমরা দু থেকে তিনখানা মুদ্রা ছাড়া কিছুই পাইনি।
খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। মেদিনীপুরের মহকুমার শাসক দীননারায়ন ঘোষ বলেন আনন্দপুর এর ওখানে কিছু পুরনো মুদ্রা মিলেছে বলে শুনেছি, খোঁজ নিচ্ছি। প্রশাসন সূত্রে খবর উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে।