করোনা আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিশ্ববাসীকে, ভারতের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়, তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা দেশ। এই লড়াইয়ে ভারতের হাতে এখন দুটি অস্ত্র বা ভ্যাকসিন রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে আরও একটি অন্য বিপদ এসে উপস্থিত।
২০০৬ সালের পর আবার খুব ভয়ঙ্কর ভাবে ফিরে এসেছে বার্ড ফ্লু। দেশের একাধিক রাজ্যগুলিতে প্রচুর মুরগী, পায়রা ও পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই। কেরল, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যগুলিতে একের পর এক পাখি ও মুরগীর মৃত্যু নতুন ভাইরাসের আগমনের সঙ্কেত প্রদান করেছে। তাই শুধু করোনা না, তার সঙ্গে সঙ্গে এবার তাই এইসব রাজ্যগুলির প্রশাসন বার্ড ফ্লুর সঙ্গে লড়াই করার জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই প্রকার ভাইরাস মানুষকেও আক্রান্ত করার সম্ভাবনা প্রবল করে তুলেছে এবং সেটি ‘মানব প্রাণঘাতী’ও। হিউম্যান ট্রান্সমিশন হলে ভয়ঙ্কর অসুস্থ হতে পারেন যে কোনও ব্যক্তিই। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যের প্রশাসন সংক্রমণ রোধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। এর ফলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। আক্রান্ত পাখি ও মুরগীর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে N1H1 ভাইরাস একইভাবে ছড়াতে শুরু করেছিল সারা দেশ জুড়ে। N1H1 বা সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়েছিল হাওয়ায়। বার্ড ফ্লুর ক্ষেত্রেও একইভাবে ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। অর্থাৎ এই ভাইরাস হাওয়ার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। কোনও ব্যক্তি এই বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হলে তাঁর শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেবে। যেমন – জ্বর, সর্দি, কাশি, হাতে-পায়ে, মাথায় ব্যথা প্রভৃতি। প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে এইসব লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সাধারণ মানুষকে।