সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে গিয়ে খুলে গিয়েছে বলিউডের এক বন্ধ থাকা দরজা। মাদকচক্রের হদিস মিলেছে তদন্তকারীদের। আর তাতে নাম জড়িয়েছে বলিউডের তাবড় তাবড় সেলেবদের। ইতিমধ্যেই সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে মাদক যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। এরই মাঝে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলো এনসিবি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর এনসিবির জেরার মুখে সব শিকার করে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া। ড্রাগ ও নিয়মিত মাদক সেবন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। বর্তমানে বাইকুলা জেলেই রয়েছে অভিনেত্রী। পিৎজা বার্গার নরম পালঙ্ক ছেড়ে মাটিতে চাটাই পেতে রুটি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর সঙ্গে মাদক যোগে গ্রেফতার হয়েছে রিয়ার ভাই সৌভিক। সেও বর্তমানে জেলেই রয়েছে। এরই মাঝে মুখ খুলল এনসিবি।
এনসিবি জানিয়েছে, দেড় কিলো চরস উদ্ধার করা হয়েছে রিয়ার বাড়ি থেকে। এমনকি রিয়া ও সৌভিক দু’জনেই মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি এই অপরাধের রিয়া ও তার ভাই সৌভিকের ১০ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। তবে, এনসিবি জানিয়েছে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা মাদকচক্র ও মাদকযোগের তদন্ত করছে। আর সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করছে।
প্রসঙ্গত, এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই খুলে যায় সমস্ত রহস্য। সেই চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। এরপর সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি। আর এরপরেই রিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই এনসিবির জেরার মুখে বলিউডের একাধিক তারকার নাম নিয়েছে যারা মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত। সূত্রের খবর, মাদক চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তী সারা আলি খান, অভিনেত্রী রকুল প্রীত সিং ছাড়াও নাম জড়িয়েছে দীপিকা পাড়ুকোনেরও।