যার সৃষ্টি আছে তার ধ্বংস আছে এ চিরন্তন সত্যের সূত্র ধরে কি পৃথিবীর ক্ষেত্রেও সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? বিভিন্ন গল্প সিনেমায় দেখে থাকি ভয়ানক কোনো ভূমিকম্প বা বন্যায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যদি বাস্তবে পৃথিবীর আয়ু শেষ হতে থাকে তাহলে কিভাবে ধ্বংস হবে? বারবার বিজ্ঞানী থেকে শুরু দার্শনিকেরা ঘোষণা করেছেন পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ। এ নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত পদার্থবিদ ও কসমোলজিস্ট স্টিফেন হকিং বহু ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। সব পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের পর বিজ্ঞানীরা কি বলছেন জেনে নিন-
1)বিজ্ঞানীদের মতে মহাকাশের পরপর এমন কিছু বিস্ফোরণ হচ্ছে যার প্রভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সৌর পরিবার। ইতিমধ্যে পৃথিবীর ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে গিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন পৃথিবী থেকে মাত্র 39 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে বিশ্বের বৃহত্তম বিস্ফোরণ ঘটেছে। ক্রমাগত এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে পৃথিবীর সহ সৌরজগতের অস্তিত্ব মিলিয়ে যাবে।
2) সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের যেভাবে জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়েছে মনে করা হচ্ছে এই রকম আরো মারন ভাইরাস পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। মানুষের গবেষণার ফলে সৃষ্ট ভাইরাস মানুষের উপর ভয়ানক প্রভাব ফেলতে চলেছে যার ফলে বিপর্যস্ত হবে গোটা জীবযাত্রা। এভাবেই শেষ হয়ে যাবে পৃথিবী।
3) প্রফেসর হকিং এর কথা অনুযায়ী প্রযুক্তির উন্নতির সাথে প্রযুক্তির প্রতি মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে মানবসভ্যতার দিন শেষ হবে। তার কথায়- মানুষের জায়গা নেবে মানুষের হাতে তৈরি রোবটরা, তারাই রাজত্ব করবে। মানব সভ্যতার দিন শেষ হবে।
4) বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছে পৃথিবীজুড়ে আগ্নেয়গিরি জেগে উঠতে পারে। আর ইন্দোনেশিয়ার লেক টোবা, আমেরিকান ইয়োলোস্টাইন, জাপানের আয়রা কালডেরা, নিউজিল্যান্ড এর টাউপো এই 4 সুপার আগ্নেয়গিরি যদি জেগে ওঠে তাহলে চোখের পলকে পৃথিবীর পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
5) ধারনা করা হচ্ছে সূর্যের রশ্মি থেকে নির্গত হওয়া সোলার ম্যাক্স পৃথিবীতে দ্রুত আঘাত হানতে পারে। যার তাপ প্রবাহে শেষ হবে পৃথিবী।