দেশের জন্য শহীদ ক্ষুদিরামের স্মরণে গান গেয়ে বাঙালি চোখের জল আনল একরত্তি, ভাইরাল ভিডিও
শুধুমাত্র দেশের স্বার্থে মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হয়েছিলেন বাংলা মায়ের বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসু। নিজের দেশকে শৃঙ্খলা মুক্ত করতে একমুখ হাসি নিয়ে শহীদ হয়েছিলেন তিনি। বিপ্লবীর আত্ম বলিদান প্রতিটি দেশবাসীর মনের মনিকোঠায় আজও জীবন্ত। আর ১১ আগস্ট সেই দিন যেদিন ভারত স্বাধীন হওয়ার এক চোখ স্বপ্ন নিয়ে শহীদ হয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। ক্ষুদিরামের শহীদ হওয়ার ঘটনায় চোখের জল এসেছিল বহু দেশবাসীর।আর এবার সেই বীর শহীদকে স্মরণ করে গান গাইলো এক খুদে। খুদের গানে ফের চোখ ভিজলো বহু মানুষের।
পীতম্বর দাস ক্ষুদিরাম বসুর স্মরণে লিখেছিলেন বিখ্যাত গান ‘একবার বি’দায় দে মা ঘুরে আসি। হাঁসি হাঁসি পড়বো ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী’। আর এই গান শোনা মাত্র আজও বহু দেশ বাসি চোখের জল আসে। আর এবার সেই বিখ্যাত গান গাইল এক খুদে। স্টার জলসার জনপ্রিয় সঙ্গীত রিয়েলিটি শো ‘সুপার সিঙ্গার’-র মঞ্চে একপর্বে সেখানকার এক রত্তি প্রতিযোগী প্রাঞ্জলের গলায় গানটি শুনে সেদিন কেঁদে ভাসিয়েছিলেন মঞ্চে উপস্থিত সকলেই।
খুদে প্রতিযোগী প্রাঞ্জলের সুরের মহিমা গানের ভঙ্গিমা যেন সকলের সামনে খুলে দিয়েছিল ইতিহাসের পাতাকে। খুদের গানের ভেসেছিল সকলে। সেখানে উপস্থিত দর্শক থেকে বিচারক সঞ্চালক সকলের চোখে এসেছিলো জল। বিচারক আসনে বসে থাকা সংগীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী, জিৎ গাঙ্গুলী কুমার শানু থেকেই এক রত্তি প্রতিযোগীর গানে ডুকরে কেঁদে উঠেছিল।
কথিত আছে,ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে গাড়িতে ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আছে ভেবে তাকে গুপ্তহত্যা করার জন্যে এক গাড়িতে বোমা ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন।যে ঘটনার ফলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়। যারা ছিলেন মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা। এরপর প্রফুল্ল চাকি গ্রেফতারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেফতার হন। দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তার বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসির আদেশ হয়। যখন তার ফাঁসি হয় তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮। হাসিমুখে দেশের জন্য শহীদ হয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। দেশবাসী চোখের জলে বিদা’য় জানিয়েছিল এই বী’র সন্তানকে।