খেলানিউজ

ধোনির অবসর নিয়ে মুখ খুললেন সাক্ষী সিং, আবেগঘন পোস্ট ধোনির স্ত্রীর

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেটপ্রেমীদের কাঁদিয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শনিবার টুইট করে নিজেই একথা জানিয়েছেন ধোনি। ক্রিকেট যে ধোনির অন্যতম এক ভালোবাসা তা অজানা নয় কারুর। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সময় যে নিজের চোখের জল লুকিয়ে রেখেই সে বিদায় জানিয়েছেন সে কথা জানালেন ধোনির স্ত্রী সাক্ষী সিং ধোনি।

মাহির ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণার পরই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন সাক্ষী। তিনি লেখেন, ‘তুমি যা অর্জন করেছ, তার জন্য তোমার গর্বিত হওয়া উচিত। খেলার প্রতি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য অভিনন্দন। তুমি যা কিছু অর্জন করেছ এবং তুমি যেরকম মানুষ, সেজন্য আমি গর্ববোধ করি। আমি নিশ্চিত যে নিজের আবেগকে বিদায় জানানোর সময় নিজের চোখের জল চেপে রেখেছিলে তুমি। আগামিদিনে তোমার সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং দুর্দান্ত জিনিসের জন্য প্রার্থনা করছি’। এরপর কবি মায়া অ্যাঙ্গলুর লাইন তুলে ধরে সাক্ষী লেখেন, ‘মানুষ ভুলে যাবেন তুমি কী বলেছ, মানুষ ভুলে যাবে তুমি কী করেছ, কিন্তু মানুষ কখনও ভুলে যাবে না, তুমি তাঁদের কীরকম অনুভূতি দিয়েছ’।

সবারই জানা ২০০৪ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেন ধোনি। ৩০ দিন আগে ৩৯ বছর পূর্ণ করা এই ক্রিকেটার ২০১৪ সালের পর আর টেস্ট ক্রিকেট খেলেননি। অন্যদিকে ধোনির নেতৃত্বে ভারত ২০০৭-এ আইসিসি T-20 বিশ্বকাপ চাম্পিয়ন হয়। ২০১০ এবং ২০১৬ তে এশিয়া কাপ যেতে ভারত। ২০১১ -তে ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ তে আইসিসি চাম্পিয়ন ট্রফি তাঁর নেতৃত্বেই আসে ভারতে। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

প্রসঙ্গত,শনিবার সন্ধ্যায় ৭ টা ৩২ মিনিটে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন ধোনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ধন্যবাদ। সারা জীবন ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সন্ধ্যা ৭ টা ২৯ মিনিট থেকে আমায় অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন’। পাশাপাশি নিজের জীবনের নানা ক্রিকেটীয় মুহূর্তের ছবি নিয়ে একটি গানও ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন ধোনি। বিখ্যাত ‘ম্যায় পল দো পল কা শায়ের হু’ গানটির সঙ্গে নিজের ক্রিকেটীয় মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন ধোনি। ধোনির ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া মানতে পারছেনা ক্রিকেটপ্রেমীরা। ধোনির ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় চোখে জল এসেছে অনেকের।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles