স্বাধীনতার এত বছর পরেও ভারতের এই স্থান ব্রিটিশদের অধীনে, দিতে হয় কোটি টাকার ট্যাক্স
আপনি কি জানেন ভারতে একটি রেললাইন রয়েছে যার মালিকানা এখনও ব্রিটিশ সরকারের হাতে। ভারতীয় রেলকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা রাজস্ব বাবদ একটি ব্রিটিশ বেসরকারি কোম্পানীকে দিতে হয়। শকুন্তলা এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন শুধু ওই রেলওয়ে ট্র্যাকে চলে। শুধুমাত্র এই রুটে শকুন্তলা এক্সপ্রেস চলার কারণে এই রুটটি ‘শকুন্তলা রেল রুট’ নামে পরিচিত। ১৯৫১ সালে ভারতীয় রেলওয়ে জাতীয়করণ করা হয়েছে কিন্তু এই রুট এর মালিকানা ভারত সরকারের হাতে নেই।
প্রথমে এই ট্রেন পাঁচ কোচের ছিল এবং এটি বাস্পচালিত ইঞ্জিনে চলত। তারপর ১৯৯৪ সালে শকুন্তলা এক্সপ্রেসের বাষ্প ইঞ্জিনকে ডিজেল ইঞ্জিন এ পরিবর্তন করা হয়। পরে কোচটি সাত কোচের করা হয়। বর্তমানে এই ট্রেনটিতে ১,০০০ এর বেশি লোক যাতায়াত করে।
ভারত সরকার অমরাবতী থেকে মুর্তাজাপুর ১৮৯ কিমি যাত্রাপথ অতিক্রম করে। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ট্রেনটির ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। এই যাত্রাপথে শকুন্তলা এক্সপ্রেস ১৯ থেকে ২০ টি ছোট ও বড় স্টেশনে দাঁড়ায়। জেডিএম সিরিজের ডিজেলে চলমান ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ২০ কিমি রাখা হয়।
এই রেলওয়ে ট্র্যাক এখনও পর্যন্ত মেরামতির দায়িত্বে রয়েছে ব্রিটিশ কোম্পানি। ভারত সরকার থেকে প্রই বছর এত টাকা ব্রিটিশ সরকারকে দেবার পরেও ট্রাকটির অবস্থা খুব শোচনীয়। জানা গেছে গেছে, প্রায় ৬০ বছরের উপরে এই ট্রাকটির কোনো মেরামত করা হয়নি।
এই ট্র্যাকে চলমান শকুন্তলা এক্সপ্রেস ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে বন্ধ করা হলেও স্থানীয় জনগণের চাপে এবং এমপি আনন্দ রাও-এর চাপে সরকার আবার এটি চালু করতে বাধ্য হয়েছিল। এমপি আনন্দ রাও বলেছেন, এই ট্রেনটি হল অমরাবতী জনগণের লাইফলাইন। কোনো কারণবশত এটি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দরিদ্র জনগণকে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে । ভারত সরকার এই ট্র্যাকটি অনেকবার কেনার চেষ্টা করলেও কিছু কারণের জন্য এটা সম্ভব হয়নি।