রয়েছে দৈত্যাকার নীল তিমি রয়েছে আণুবীক্ষণিক প্রাণী কিংবা গাছ কত কোটি যে প্রজাতি রয়েছে এই গ্রহে তার কোনো হিসাব নেই। প্রচুর প্রজাতির প্রানী বা পতঙ্গ রয়েছে যা এখনো আবিস্কারই হয়নি। এ কারনে বলা হয় পৃথিবী এক রহস্যগাথা। সম্প্রতি মহা সাগরের বুক থেকে উঠে আসা এক দানবীয় আরশোলার খোঁজ মিলেছে। যেখানে বাড়িতে ছোট আরশোলা উড়লে প্রান ওষ্ঠাগত হয় সেখানে এই আরশোলার অদ্ভুত চেহারা দেখলে ভয় পেতে বাধ্য। বানটনে ভারত মহাসাগরের একটি অংশের দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে এমন নতুন এক প্রজাতির প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
2018 সালের ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা এলাকায় এই প্রাণীটিকে প্রথম পাওয়া গেছিল। প্রায় দুই বছরের গবেষণার পর সিঙ্গাপুরের গবেষকরা এই প্রাণীটিকে নতুন প্রাণী আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার দানবীয় রূপ এর জন্যই নাম দেওয়া হয়েছে “বাথিনোমাস রাক্ষসা”।
এই বাথিনোমাস রাক্ষসা আসলে এক ধরনের বিশালাকার জীব। এই প্রজাতির জীবের শরীরে প্রায় কুড়ি ধরনের স্পিসিজ রয়েছে। কাকড়া লবস্টার এই জাতীয় প্রাণীর সাথে এর অনেক মিল। এরা একধরনের মাংসাশী জলের পোকা তবে ভয় নেই বাড়ির মধ্যে এরা ঢু মারবে না কারন গভীর সমুদ্রে শীতল পরিবেশের মধ্যে মহাসাগরের বুকে এরা থাকতে ভালোবাসে।
14 টি পা যুক্ত এই আরশোলার বাস প্রশান্ত ও আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে। সমুদ্রের গর্ভের মধ্যে হেঁটে হেঁটে খাদ্যের খোঁজ করে এরা।এদের দেখে মনে হতে পারে যেন মাথায় হেলমেট পড়ে রয়েছে আসলে এখানেই তাদের চোখ রয়েছে। সাইজে এরা 33-50 সেন্টিমিটার হয়। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর রিসার্চ সেন্টার ফর ওশানোগ্রাফি এবং ইন্দোনেশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এর গবেষকরা এই গোটা প্রজেক্টে কাজ করেছেন। 63 টি জায়গা ঘুরে 12000 নমুনা সংগ্রহ করে অসংখ্য স্পিসিজ এনেছেন তারা।