কথায় বলে হাজার কথা না হলে নাকি বিয়ে হয়না আর এই কারনেই প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়।আর শুভ দিন দেখে তবেই পরিনয় সুসম্পন্ন হয়।কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো দেশ জুড়ে লকডাউন। এই মুহূর্তে যাদের বিয়ে কথা ছিল তাদের এখন মাথায় হাত, নির্ধারিত দিন চলে গেলে তারপরে আবার সময় বের করা যথেষ্ট কঠিন। আর এইরকমই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন দিল্লীর এক যুগল। বিয়ের সময় আগে থেকেই নির্ধারিত তাই বিবাহ না পিছিয়ে নমো নমো করে সম্পন্ন হলো শুভ পরিণয়।
শনিবার দিল্লির গোবিন্দপুর প্রেমিকা পূজার সাথে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন 27 বছরের কুশল ওয়ালিয়া। বরকনে ও তাদের বাবা-মায়েদের এসকর্ট করে কালকাজী আর্য সমাজ মন্দির নিয়ে গেলে পুলিশের দুই অফিসার। লকডাউন এর ফলে বিনা আড়ম্বরে পালন করা হলো বিয়ের সব অনুষ্ঠান কনে নিজে নিজেই মেহেন্দির মেকআপ করেন। পরনে ছিল মায়ের বিয়ের শাড়ী। পুরোদস্তুর সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে মাক্স পরে বিয়ে হয় তাদের। দুই পুলিশ অফিসার বর-কনেকে একটি ওড়না উপহার দিয়েছেন আর তাদেরকে রিটার্ন গিফট হিসাবে বরকনে পক্ষ মাক্স ও স্যানিটাইজার তুলে দিয়েছেন।
25 এপ্রিল বিয়ের কথা ছিল কিন্তু এরকম অবস্থায় বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার কথায় তারা ভাবছিলেন। কিন্তু লকডাউন উঠলেও জমায়েত করা উচিত নয় তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছোট করেই অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পুলিশের অনুমতিতে সঠিকভাবে সতর্ক থেকে সামাজিক দায়িত্ব পালনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।