নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

ক্যান্সারে হারিয়েছেন এক পা, তবুও থামেননি, প্রতিবন্ধী সদস্যদের নতুন বস্ত্র দিলেন নদীয়ার শান্তিপুরের সুজন দত্ত

যার সহযোগিতায় এধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় কাউকে। এরপর একের পর এক সদস্যদের জোগাড় করেন।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর শহরের গোবিন্দপুরের  বাসিন্দা সুজন দত্তর  আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে মারণ রোগ ক্যান্সারে বাদ যায় একটি পা। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, ক্র্যাচ হুইল চেয়ার জোগাড় করতে বছর তিনেক ঘুরে ছিলেন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি অফিসের দফতরে।

সেই থেকেই বিছানায় শুয়ে পণ করেছিলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দের জন্য গড়ে তুলবেন একটি সংগঠন। যার সহযোগিতায় এধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় কাউকে। এরপর একের পর এক সদস্যদের জোগাড় করেন। প্রতিদিন  নিজের টাইসাইকেল চালিয়ে পৌঁছে যান গ্রাম-গ্রামান্তরে। শান্তিপুর ডাকঘর তামাচিকা পাড়ায় শান্তিপুর বিধানসভা ভিত্তিক একটি অফিস খুলেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে অবশ্য বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসা করে জানান বিপুল পরিমাণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের ভাতার ব্যবস্থা করে তিনি আমাদের মায়ের ভূমিকায় আহার জুগিয়েছেন। শিক্ষা ,লোন ,জীবিকা, ভাতা, কম্পিউটার , নৃত্য, হাতের কাজ, গান , আবৃত্তি, নাটক, ক্রীড়া সবটাই শেখার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে অবশ্য শান্তিপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সহৃদয় মানুষ তাকে সহযোগিতা করে নিয়মিত। আজ নিজে নতুন বস্ত্র পড়ার আগে তার নিজ বাসভবনে ৫০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দের হাতে তুলে দিলেন নতুন বস্ত্র, মাস্ক, স্যানিটাইজার। এর আগেও একপায়ে ভর করে পরিবারের খরচ সামলিয়ে দীর্ঘ লকডাউনে চেয়েচিন্তে জোগাড় করেছেন চাল, ডাল,তরিতরকারি, অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী, সেগুলি পৌঁছে দিয়েছেন গ্রাম-গ্রামান্তরে প্রান্তিক দিব্যাঙ্গদের হাতে।

Related Articles