নদীয়ার কৃষ্ণনগরে করোনা হাসপাতালের সামনে বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি নিয়ে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ
এবার চিকিৎসা বন্ধ করে এমনই দাবি নিয়ে কোভিভ হাসপাতালের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নামলেন অস্থায়ী কর্মীরা।
মলয় দে নদীয়া:- দীর্ঘ আট মাস ধরে কোভিড হাসপাতালে ডিউটি করছি, নেই কোনো নিরাপত্তা, নেই কাজের নিশ্চয়তা, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে কে নেবে আমাদের সংসারের দায়িত্ব, এবার চিকিৎসা বন্ধ করে এমনই দাবি নিয়ে কোভিভ হাসপাতালের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নামলেন অস্থায়ী কর্মীরা।
নদীয়ার কৃষ্ণনগর গ্লোক্যাল কোভিভ হাসপাতালে ঘটনা। করোনা আবহ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নতুন ভাবে আলাদা আলাদা করে কোভিড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ঠিক সেই মতো নদীয়াতে বর্তমানে দুটি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। একটি কল্যাণীতে এবং অন্যটি কৃষ্ণনগরে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কৃষ্ণনগর কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকেই তারা কর্মরত। আমরা প্রথম থেকেই মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের সুস্থ করে তুলছি। আমরা প্রায় ১২ ঘন্টা ডিউটি করি। কিন্তু আমাদের মাসিক বেতন ৮ হাজার টাকা। যা দিয়ে বর্তমানে কোন সংসার চলে না। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আমরা যাদের সুস্থ করে তুলছি তারা পরবর্তীতে ১৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ পাচ্ছে ওই একই হাসপাতালে।
তারা আরও বলেছেন, অথচ আমরা প্রথমদিকে কাজ করে আসছে সে ক্ষেত্রে আমাদের বেতন নিয়ে কোনোরকম ভাবনা চিন্তা নেই স্বাস্থ্য দপ্তরের। যেহেতু আমরা করোনা হাসপাতালে কর্মরত সেই কারণেই আমাদের সব সময় একটা আক্রান্তের ভয় থেকেই থাকে। আমরা মারা গেলে আমাদের নেই কোন বিমার ব্যবস্থা।
আমাদের কিছু হয়ে গেলে সংসারের কি হবে। অবিলম্বে স্বাস্থ্য দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। যাতে তারা আমাদের ন্যূনতম বেতন বাড়ানো হয়। এবং বেতন একাউন্টের মাধ্যমে আমাদের দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা তারা জানিয়েছেন আমাদের এই দাবিগুলি না মানলে পরবর্তীকালে আমরা বড়োসড়ো আন্দোলনের পাশাপাশি কর্মবিরতি রাখারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।