নিউজরাজ্য

স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও ছাত্রীর সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে, কেলেঙ্কারি কান্ড ঘটালেন স্কুল শিক্ষক

Advertisement
Advertisement

স্কুলের ছাত্রীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন আগের পক্ষের স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও। তাই শিক্ষককে বাধা গ্রামবাসীদের মুর্শিদাবাদ থেকে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে বীরভূমের স্কুলে কাজে যোগদান করার সময়। তাঁদের ভয়, ওই শিক্ষক যদি আবার কোনো ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান!

বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকার দেরিয়াপুর অঞ্চল উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখালো নতুন এক শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে বাধা দিতে। স্থানীয়রা জানান, বীরভূমের দেরিয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসছেন সেখ ইয়াকুব হোসেন নামে দর্শনের এক শিক্ষক। তিনি মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকার জেমো নরেন্দ্রনারায়ণ হাই স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষকতা করার সময় কয়েকদিন আগে স্কুলেরই এক ছাত্রীকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে থাকার পরেও কোনো রকম যোগাযোগ করেননি প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে।

তারপরে ওখান থেকে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে পালিয়ে এসেছেন এখানে। আর সেই খবর পাওয়ার পর শুক্রবার গ্রামে এসে পঞ্চায়েত সহ সকলকে পুরো ঘটনা জানান প্রথম পক্ষের স্ত্রী, ছেলে ও তাঁদের পরিবার। তাই গ্রামবাসীদের দাবি, এই স্কুলে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না এই ধরণের শিক্ষককে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, যে শিক্ষক বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে থাকার সত্ত্বেও পালিয়ে ছাত্রীর সাথে বিয়ে করতে পারে, সেখানে কোন নিশ্চয়তা নেই যে সেই শিক্ষক এই স্কুলেও এমন ঘটনা ঘটাবে না। যার ফলে গ্রামবাসীরা স্কুলের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ওই শিক্ষকের কাজে যোগ দেওয়া রুখতে।

গেটের সামনে ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়ে থাকেন দেরিয়াপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষক ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ দুপুর বারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললে স্কুলের গেট খোলা হয় ও ক্লাস শুরু হয় পুনরায়। এদিকে ওই শিক্ষক এই ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে এসেও ঘুরে চলে যান কাজে যোগ না দিয়েই। তবে খোদ স্কুলের শিক্ষকরা সংশয়ে আছেন পুনরায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের আবার যেদিন ওই শিক্ষক স্কুলে কাজে যোগ দিতে আসবেন।

Related Articles