রাজ্য সরকারের খরচে চলা সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার। শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দিয়েছেন, জনতার করের পয়সায় ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না। এমনকি এই নীতি সংস্কৃত টোলগুলির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হবে।
তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন যে অনেকদিন আগে বিধানসভাবতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ধর্মীয় শিক্ষায় কোনও ভাবেই সরকারি অর্থব্যয় চাইছেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলছেন, “বেসরকারিভাবে চলা টোল মাদ্রাসা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। সেগুলি যেমন চলছে তেমন চলতে পারে। আমরা কোনও মাদ্রাসা বা টোলের দায় নেবো না।”
আর এই মাদ্রাসায় যারা পড়ান, তাদের কি হবে? এই প্রশ্নে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন যে এখন ৪৮ জন মাদ্রাসা শিক্ষক রয়েছেন। এদের সকলকেই অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হবে। এখন আসামে মোট ৬১৪ টি মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে ৫৭ টি মেয়েদের, ৩টি ছেলেদের, ৫৫৪টি যৌথ শিক্ষার রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি উর্দু ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যে মোট ১০০০ সংস্কৃত টোল রয়েছে। সরকারি অনুদানে চলে ১০০টি। প্রতিবছর ৩-৫ কোটি টাকা খরচ হয় সরকারের টোল চালাবার জন্য। আর এবার এই খরচ বন্ধ করতে চাইছে রাজ্য।