দেশনিউজ

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর টুইটে গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, বললেন, ‘ভারতের উন্নতির জন্য তাঁর অবদান অনেক’

আজ সন্ধেবেলা দিল্লির সেনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

Advertisement
Advertisement

আগস্ট মাসের ৯ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কিছুদিনের লড়াইয়ের পর হার মানলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখ্যোপাধ্যায়। আজ সন্ধেবেলা দিল্লির সেনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গত ৯ আগস্ট তিনি নিজের বাড়িতে বাথরুমে পড়ে যান। মাথায় গুরতর আঘাত লাগে, এছাড়া অবশ হতে থাকে বাঁ হাতও। তারপরেই তাঁকে দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান যে দ্রুতই অস্ত্রোপচার দরকার। অস্ত্রোপচারের সময় অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

তারপর এই সংক্রমণের মধ্যেই তাঁকে অস্ত্রোপচার করা হয়। অবশ্যই চিকিৎসকরা নিরাপদে সেই কাজ করেছেন। ইটা একটা চ্যালেঞ্জের কাজ ছিল চিকিৎসকদের কাছে। আর তারপর থেকেই তাঁর শরীর ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যায়। তিনি দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। গত দুদিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ফুসফুসে সংক্রমণের জেরে জটিলতা আরও বাড়ে। অবশেষে সব লড়াই শেষ করে আজ সন্ধেবেলা তিনি পরলোক গমন করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন,” ভারতরত্ন প্রণব মুখ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যতে গোটা দেশে শোকের ছায়া। ভারতের উন্নতির জন্য তাঁর অবদান অনেক। তিনি রাজনীতির উর্দ্ধে ছিলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে তিনি প্রশংসার পাত্র ছিলেন।”

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। মমতার সাথে প্রণব বাবুর সম্পর্ক ছিল একেবারে দাদা-বোনের মত। আজ সেই । দাদা-বোনের অটুট সম্পর্কের জগৎটা শূন্য হল। মুখ্যমন্ত্রী আজ টুইট করে লিখলেন যে রাজনৈতিক জীবনে আমার প্রথম সাফল্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত প্রতি পদক্ষেপে প্রণবদার সান্নিধ্য পেয়েছি। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়া দিল্লি সফর ভাবাই যেত না।” মুখ্যমন্ত্রীর টুইটে পুরানো দিনের নানা স্মৃতি উঠে এসেছে। যা দেখে বোঝাই যায় যে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে প্রণব ব্যাবিউর সম্পর্কটা অনেক গভীর ছিল।

Related Articles