মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কার মুখ সামনে নিয়ে আসতে চলেছে বিজেপি তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। তবে কিছুদিন আগে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun chakraborty) ব্রিগেডের সভায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর অনেকেই মনে করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মিঠুনকে দাঁড় করাবে বিজেপি সরকার।
তবে এদিন সমস্ত জল্পনাকে নস্যাৎ করে মিঠুন জানিয়ে দিলেন, তিনি প্রার্থী হয়ে লড়বেন না, শুধু বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে থাকবেন তিনি। বিজেপির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রার্থী তালিকা বেরিয়ে গেছে তবে তাতে নাম পাওয়া যায়নি মিঠুনের।
এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সবথেকে বড় স্লোগান “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে কোন হেভিওয়েটের বাঙালিকেই দাঁড় করাবে বিজেপি এমনটাই মনে করা হচ্ছিল, আর সেই ক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তী নাম সবার আগে উঠে আসছিল, অন্যদিকে মিঠুন এককালে নিজে তৃণমূলের রাজ্য সভায় প্রার্থী ছিলেন আর সেই কারণে বাংলায় বিজেপির মুখ মিঠুন চক্রবর্তী হলে তা অন্য মাত্রা যোগ করতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
বেশ অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে, আর সেইমত গত ৭ মার্চ বিজেপির ব্রিগেড সভা তে যোগ দিতে মুম্বাই থেকে উড়ে আসেন মিঠুন। এবং সেই সভার মঞ্চেই শক্ত হাতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ব্রিগেডের সভায় মিঠুন চক্রবর্তী কে বাংলার ছেলে বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি( Norendra Modi)।
ব্রিগেডের সভার পরে বেশ কিছুক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপচারিতায় হয় মিঠুনের। সেই কারণে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিজেপির সবথেকে বড় অস্ত্র মিঠুন চক্রবর্তীকে তারা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দার করাবে এমনটাই অনুমান করা হয়েছিল। তবে বাস্তবে মিঠুন জানালেন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্ত করতেই তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে, প্রার্থী হতে নয়। তবে মিঠুন ভোটে লড়তে না চাইলেও দল যদি মনে করে তবে তার সাথে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে।