দেশনিউজ

বাবা হলেন Salman, লক্ষ্মীর আগমনে আত্মহারা পরিবার

Advertisement
Advertisement

প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে সাধারণত ছেলেদের মেয়েদের তুলনায় প্রাধান্য দেওয়া হয়। এমনকি আধুনিক যুগেও এখনও প্রচুর জায়গায় কন্যাসন্তান জন্মানো অপরাধ বলে মনে করে কিছু সমাজে। ‘কন‍্যাসন্তান বাবা-মায়ের উপরে বিশাল এক ঋণের বোঝা’ এই ধারণা আমাদের দেশেও অনেক দিন ধরেই জাঁকিয়ে বদ্ধমূল। যদিও বর্তমানে সময় বদলেছে, ধারণাও অনেক আধুনিক হয়েছে। কিন্তু মেয়েরা যতই সমাজে নিজেদের পরিচয় নিজেরা তৈরি করুক, প্লেন চালাক বা দেশের প্রতিরক্ষার উচ্চপদে আসীন হোক না কেন, মেয়েদের বিয়ে দিতে হবে এই ভেবেই বেশিরভাগ বাবা-মা দুশ্চিন্তায় দিন গোনেন আর আর তিলে তিলে পয়সা জমান ধীরে ধীরে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনাও ঘটে এসেছে এবং ঘটছেও।

পাঞ্জাবের গোয়ালিয়রে এক সেলুনের মালিক সলমনের ঘরে যখন কন্যা সন্তান জন্মায়, তিনি আনন্দ উদযাপনের অন্য উপায় ভেবে রেখেছিলেন। মেয়ের জন্মানোর ফলে, নিজের সেলুনে বিনামূল্যে সবাইকে পরিষেবা দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে একটি বার্তাও পৌঁছে দিলেন তিনি। পরিবারে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করলে যেমন খুশির প্লাবন বয়ে চলে, মেয়ে জন্মালেও যেন সবাই একইরকম আনন্দ পান।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর সলমনের মেয়ে জন্মায়। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান যে, মেয়ে জন্মানোর পরেই খুশির সীমা ছিল না তাঁর। একটি শিশু পৃথিবীতে এলে পরিবারের সকলেরই খুশী হওয়া উচিত। তাই তিনি দোকানের বাইরে আগে থেকে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জানিয়ে দেন ৪ঠা জানুয়ারি সেলুনে যাঁরাই আসবেন, বিনামূল্যে তাঁদের কাজ করে দেবেন। তার সাথে এটাও উল্লেখ করা ছিল, কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণের ফলেই এই সিদ্ধান্ত। সেইদিন সলমনের দোকানে যে গ্রাহকরা এসেছিলেন, তাঁরা সলমনের এই কাজে দারুণ খুশি। তাঁরা প্রত্যেকেই সলমনের মেয়ের উদ্দেশ্যে শুভকামনা জানিয়েছেন ও আশীর্বাদ পাঠিয়েছেন।

সলমনের এই কাজের মাধ্যমে সমাজে পজিটিভ বার্তা ছড়িয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হওয়ার পরই নেটিজেনরাও সেলুন মালিকের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বহু সমাজ যে এখনও কন্যাসন্তানের জন্ম চায় না, সেটা সলমন জানেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ধারণা একদম ভুল। মেয়ে জন্মালে একই আনন্দ উদযাপন করা উচিৎ। নেটিজেনদের এই প্রশংসা জানান দিচ্ছে যে সমাজে শতাব্দীপ্রাচীন ধারণার বদল ঘটছে ধীরে ধীরে।

Related Articles