দেশনিউজ

IAS অফিসার হওয়ার স্বপ্ন, প্রতিদিন উঁচু পাহারে উঠে ক্লাস করছে ১২ বছরের কিশোর

Advertisement
Advertisement

জীবনে যদি লক্ষ্য স্থির থাকে তাহলে শত বাধাও অতিক্রম করা যায়। অদম্য ইচ্ছা শক্তি দিয়ে জয় করা যায় সমস্ত বাধা। তারই একটি উদাহরণ হল জওহর নভোদয় বিদ্যালয়ে পাঠরত হরিশ। রাজস্থানের বারমারের পাঁচপাদরা গ্রামের বাসিন্দা বছর বারোর হরিশ। বাড়িতে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থাকেনা তাই অনলাইন ক্লাস যাতে মিস না হয় সেই কারণে প্রত্যেক দিন উঁচু পাহাড়ে চড়তে হয় হরিশকে।

হরিশ পাহাড়ের ওপরে অনলাইন ক্লাস করার জন্য যথেষ্ট ইন্টারনেট স্পিড পায়। সেই কারণে প্রত্যহ ভাইকে সাথে নিয়ে সকাল ৮ টার সময় একটি স্মার্টফোন, চেয়ার, টেবিল এবং বই নিয়ে হরিশ পৌঁছে যায় পাহাড়ে। দুপুরের তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাতও হরিশের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

দ্য বেটার ইন্ডিয়াকে হরিশ জানিয়েছে, ‘ আমি একটি ক্লাসও মিস করতে চায়না। আমি কোনো বিষয়ে কারোর থেকে পিছিয়ে যেতে চায়না। করোনা পরিস্থিতি আমাদের সকলের জীবনে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমরা ধীরে ধীরে এর সাথে মানিয়ে নিতে পারবো।’ হরিশের স্বপ্ন একজন IAS অফিসার হওয়া। হরিশ জানিয়েছে, ‘আমি বিশাল কিছু পরিবর্তন করতে পারবো কিনা জানিনা। তবে আমি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নতি করার চেষ্টা করবো। তার মধ্যে অন্যতম হল ইন্টারনেট পরিষেবা। জীবনের অগ্রগতির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা প্রয়োজন।’

হরিশের বাবা জানিয়েছে, আমার ছেলে হরিশ পড়াশুনা করতে চাইছে কিন্তু আমাদের বাড়িতে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক একদম থাকেনা। সেই কারণে ওকে চড়তে হয় উঁচু পাহাড়ে। বাহানা না দিয়ে ও খুব চেষ্টা চালাচ্ছে পড়াশুনা করার এটা দেখে খুব ভালো লাগছে। হরিশের বাবা একজন কৃষক শ্রমিক। তাই সংসার চালিয়ে ছেলের পড়াশুনা এবং ইন্টারনেটের টাকা জোগাড় করতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি স্কুল এবং সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যেন ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়। তাহলে খুব উপকার হয়।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles