আন্তর্জাতিকনিউজ

১০০ বছর পর পাওয়া গেল সোনার পাতে মোড়া গান্ধীজির চশমা, নিলাম করবে ব্রিটেনের সংস্থা

Advertisement
Advertisement

বহু বছর মিললো গান্ধীজির সোনার পাতে মোড়া একজোড়া চশমার খোঁজ। এবার এই ঐতিহাসিক চশমার নিলাম হতে চলেছে। জানা গেছে, সোনার পাতে মোড়া এই চশমার নিলাম হবে ব্রিটেনে। মনে করা হচ্ছে, এই চশমার দাম উঠবে কমকরে ১০-১৫ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। উত্তর পশ্চিম সীমান্তের হানহাম শহরের ইস্ট ব্রিস্টল নিলাম সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত রবিবার তাদের কাছে এই চশমা এসেছে। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই ঐতিহাসিক চশমাটি এবং এই চশমার ইতিহাস একটি খামে মুড়ে তাদের লেটারবক্সে কেউ রেখে গেছে।

ইস্ট ব্রিস্টল নিলাম সংস্থার মালিক অ্যান্ডি স্টো জানিয়েছে, প্রাথমিক পরীক্ষার পর এটি সত্য বলেই মনে হচ্ছে। তিনি জানান, ‘ আমি যখন সবটা বুঝতে পারি তখন অজান্তেই যেনো চেয়ার থেকে উঠে পড়েছিলাম। যেনো স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের একজন ব্যবসায়ী ওই চশমাটি রেখে গেছেন।

অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাবসায়ী জানিয়েছে, তার বাবা তাকে বলেছিল তার বাবার কাকা তাকে এই চশমা দিয়ে গেছে। তার বাবার কাকা অর্থাৎ ওই ব্যাবসায়ীর দাদু ১৯১০-১৯৩০ সাল পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের হয়ে কাজ করেছেন। সেই সময় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ওরফে গান্ধীজির কাছ থেকে উপহারস্বরূপ এই চশমা পান। ব্যাবসায়ীটি উত্তরাধিকার সূত্রে এটি পেয়েছেন। তার মনে হয়েছে এটা সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া উচিত।

শোনা গেছে, গান্ধীজি তার ব্যাবহৃত জিনিস তার পরিচিতিদের উপহার হিসেবে দিতেন। নিলাম সংস্থার মালিকের কথায়, চশমাটির দুটি ডান্ডা এবং কাঁচ জোড়া লাগানোর জন্য ব্যাবহৃত ধাতব টুকরোটি সোনার জলের রঙ করা পাত দিয়ে মোড়া। তিনি আরও জানান, ‘ আমরা চশমাটি ভালো করে পরীক্ষা করে বুঝতে পেরেছি চশমাটির সময়কাল এবং ব্যাবসায়ীটির বলা সময়কাল একদম মিলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এটি গান্ধীজির প্রথম দিকের ব্যাবহৃত চশমা। তিনি তখন নিজের ব্যাবহৃত জিনিস অনেককেই দিতেন।’ জানা গেছে, আগামী ২১ শে আগস্ট অনলাইনে চশমাটির নিলাম শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ভারত থেকে অনেকে চশমাটির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles