কলকাতানিউজরাজ্য

পঞ্চমী থেকে দশমী বিনামূল্যে মিলবে মাংস-ভাত, আয়োজনে ‘মমতাময়ীর হেঁসেল’

দুর্গাপুজোর সময় পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রত্যেকদিন কসবা অঞ্চলের ১০০০ গরীব মানুষকে বিনা পয়সায় মাংস–ভাত খাওয়ানো হবে।

Advertisement
Advertisement

করোনার জন্য বহু মানুষের কাজ চলে গিয়েছে। নিত্যদিনের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। আর এই গরিবদের কথা ভেবেই তৃণমূলের উদ্যোগে তৈরী হয়েছে’মমতাময়ীর হেঁসেল’। আর এবার সামনেই দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে গরীব মানুষদের কথা ভাবল দল। পুজোর কটা দিন এই মানুষগুলোর মুখে মাংস–ভাত তুলে দেবেন তাঁরা। পুজোর পাঁচদিন বিনা পয়সায় মাংস–ভাত খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এই তৃণমূল কাউন্সিলর।

দুর্গাপুজোর সময় পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রত্যেকদিন কসবা অঞ্চলের ১০০০ গরীব মানুষকে বিনা পয়সায় মাংস–ভাত খাওয়ানো হবে। রোজ আগ্রহী মানুষের কাছে কুপন বিলি করা হবে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে এই বিতরণ। তবে এই ভালো উদ্যোগের মাঝেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর বিতর্ক হচ্ছে এই হেঁসেলের স্লোগান নিয়ে।

এর কারণ হল-সম্প্রতি লকডাউন পর্বে যাদবপুরে একটি শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। যার স্লোগান—‘‌কেউ খাবে কেউ খাবে না। তা হবে না, তা হবে না।’‌ আর এবার মমতাময়ীর হেঁসেলেও হুবহু একই স্লোগান। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। মমতাময়ীর হেঁসেল তৈরী করেছেন যিনি, সেই কাউন্সিলর ও বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত কুমার ঘোষের দাবি, এই স্লোগান কখনই সিপিএমের নয়। এটা তৃণমূলের। আবার বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, তৃণমূল সাধারণত বিজেপি, কংগ্রেসের থেকে নকল করে। এবার আমাদের নকল করছে। এই স্লোগান কখনই তৃণমূলের নয়। তবে সে যাই হোক, পুজোর কদিন গরিব মানুষগুলো বিনেপয়সাতে খেতে পারবেন বলে তাদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে।

Related Articles