নিউজরাজনীতিরাজ্য

“যদি বাপের বেটা হ‌ই, জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়বো”,:অভিষেক

Advertisement
Advertisement

ভোট শেষের আগেই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জয় শ্রী রাম’-এর শরণাপন্ন হবেন – কোচবিহারের সভায় এমনই হুঙ্কার দিয়েছিলেন অমিত শাহ। শনিবার ডায়মন্ড হারবারে কুলপির সভায় ‘জয় শ্রী রাম’-এর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – ‘জয় সিয়া রাম’।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’জয় শ্রী রাম না বলে জয় সিয়া রাম বলুন। আগে সীতা পরে রাম। বলার ক্ষমতা আছে? প্রতিটি সভায় বলুন দেখি। বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ করছি, জয় সিয়া রাম বলে সভা শুরু করুন। ওরা তা করবে না। কারণ মহিলাদের সম্মান দেয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি বাপের বেটা হই, তোমাদের দিয়ে জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়ব। মহিলাদের সম্মান দিতে হবে।’

গেরুয়া ব্রিগেড প্রথম থেকেই মমতার গায়ে তোষণের তকমা সেঁটে দিতে চাইছে। কোচবিহারের সভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘বাংলায় আজ জয় শ্রী রাম বলা অপরাধ! আরে দিদি, জয় শ্রী রামে আপনি কেন এত অপমানিত বোধ করেন? জয় শ্রী রাম কি পাকিস্তানে বলবে? গোটা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ শ্রী রামকে স্মরণ করে গৌরবান্বিত হন। আর আপনি একটা সম্প্রদায়ের ভোটের জন্য তোষণ করছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ভোটের আগেই মমতা দিদিও জয় শ্রী রাম বলতে শুরু করবেন।’

ওই দিনই তৃণমূল নেত্রী ‘জয় সিয়া রাম’ বলে জবাব দিয়েছিলেন। তাঁর ব্যাখ্যা,’আমরা জয় সিয়া রাম বলি। মানে সীতা ও রাম।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভার মতোই ভোটের আগে জয় শ্রী রাম নিয়ে হিন্দুত্বের আবেগে শান দিতে চাইছে বিজেপি। আর তার পাল্টা কৌশল নিল তৃণমূল। রামকে সামলাতে সিয়া-রামের শরণ নিল তারা। মমতার পর এ দিন সেই কৌশলই স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related Articles