পায়েল গাঙ্গুলি: বর্তমানে আধার কার্ড অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি তথ্য হয়ে উঠেছে। তবে এরই মাঝে আধার নিয়ে নয়া চিন্তাভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের। আরো উন্নত সরকারি পরিষেবা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে আধার অথেনটিকেশনের অনুমতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। ফলে আধার নিয়মে আসতে চলেছে বেশ কিছু পরিবর্তন।
তাহলে নয়া নিয়মে কী ভাবে হবে এই অথেনটিকেশন জানেন কি! সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যে মোবাইল নম্বর বা ই-মেইল আইডি আধারের সঙ্গে যুক্ত সেখানে ওয়ান-টাইম পিন পাঠানো হবে। তা ছাড়া ফিঙ্গার প্রিন্ট বা iris ভিত্তিক অথেনটিকেশনের সুযোগ থাকবে। তবে হ্যাঁ এই অথেনটিকেশনের আগে যে ব্যবহারকারী তার অনুমতি প্রয়োজন। জানা যাচ্ছে, এই নয়া নিয়মের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
তবে, নয়া আধারের নিয়মের ক্ষেত্রে কি কি পরিবর্তন থাকছে। তা জানার জন্য উদগ্রীব সকলে। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তা বিশদে ব্যখ্যা করে প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ এক সরকারি আধিকারিক উদাহারন স্বরূপ বলেন, ‘বর্তমানের করোনা কবলিত পরিস্থিতিতে এই নয়া নিয়মের মাধ্যমে স্পর্শহীনভাবে লার্নিং লাইসেন্সের আবেদন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ঠিকানা পরিবর্তন বা লাইসেন্স রিনিউর মতো কাজ করা যাবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে আর ব্যক্তিগতভাবে RTO অফিসে হাজিরা দিতে হবে না। আধার অথেনটিকেশনই যথেষ্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্সের রিনিউ, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ঠিকানা পরিবর্তন ইত্যাদির জন্য MeitY-র কাছে আধার অথেনটিকেশনের অনুমতি চায় পরিবহন মন্ত্রক। এর ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা তো হবেই মানুষ উন্নত পরিষেবাও পাবে।
উল্লেখ্য,আধার অথেনটিকেশনের মাধ্যমে সরকার কোনও ব্যক্তিকে গ্রাহক পরিষেবা, ভরতুকি বা যে কোনও সুযোগ সুবিধা প্রদানের আগে তা যাচাই করে নিতে পারবে বলে বর্তমান আইনেই বলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে ,আধার সংক্রমণ সমস্ত নীতি নির্ধারণের ভার UIDAI-এর উপরে। আধারের নয়া নিয়মের মাধ্যমে গ্রাহকরা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন অনেকে।