নিউজ

২১ জুন পৃথিবীর শেষ দিন, অংক কষে বুঝিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা!

Advertisement
Advertisement

২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর কমবেশি সকলের ই মনে আছে। মায়া ক্যালেন্ডারের মতে বিশ্বজুড়ে গুঞ্জন ওঠে ছিলো, পৃথিবী নাকি ধ্বংস হতে চলেছে! কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, হিসেবের ভুল থাকাতে ধ্বংসের দিনভুল নির্ধারণ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই ভুল কাটিয়ে বিশেষজ্ঞরা নতুন তথ্য সামনে এলো, আর তাতেই রহস্য দানা বাঁধলো। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মায়া ক্যালেন্ডারের মতে এই বছরেই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। আর ধ্বংস হতে বেশি সময় বাকি নেই। পরের সপ্তাহেই ধ্বংস হয়ে যাবে গোটা পৃথিবী।

প্রসঙ্গত, আজ থেকে প্রায় ৫,১২৫ বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিলো মায়া ক্যালেন্ডার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর শেষ হবে ক্যালেন্ডার। যেহেতু ওই ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করা অনেক কিছুই বাস্তবে ঘটেছিলো, তাই ক্যালেন্ডারের শেষ হয়ে যাওয়াকে পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারনে ‘২০১২’ নামে তৈরিও করা হলো একটি হলিউড সিনেমা। কিন্তু ২০১২ সালে তেমন কিছুই না হওয়ায় চিন্তিত ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারা লক্ষ্য করে, হিসেব কষতে গিয়ে তাদের অঙ্কে ভুল রয়ে গেছে। সেই ভুল সংশোধন করতে, ফের একবার শুরু হলো হিসেব কষা। তাতেই পাওয়া যায় নতুন তথ্য। ৮ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০১২ সাল নয় অঙ্কের উত্তর হতো ২০২০ সাল। ধ্বংস হতে আর এক সপ্তাহ মাত্র বাকি। প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরু থেকেই যেভাবে একের পর এক ভয়াবহ পরিস্থিতি ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীতে। আর এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর ধ্বংস হলে তেমন কিছু আশ্চর্য নয়।

মায়া ক্যালেন্ডারের মতে, আমরা এখন ২০১২ সালে আছি। এদিকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসেব অনুযায়ী, ১১ দিনে মায়া ক্যালেন্ডারের এক দিন করে পরিবর্তন হয়। আর এই কারনেই ক্যালেন্ডার ১৭৫২ থেকে শুরু হয়। যার ফলে ১৭৫২-২০২০= ২৬৮ বছর ইতিমধ্যেই পার হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দিনগুলো বাকি থাকে, তার হিসেব দাঁড়ায় ২৬৮*১১ = ২৯৪৮ দিন। এবার ২৯৪৮ দিনকে ৩৬৫ দিয়ে ভাগ করলে দেখা যায়, ৮ বছর। আর এই ৮ বছরই গন্ডগোল হয়ে যায়, হিসেবের ভুলে। এদিকে বিজ্ঞানী পাওলো তাগালোগিউন জানিয়েছেন, পৃথিবীর শেষ দিন হল ২০২০-র ২১ জুন। তবে বিশেষজ্ঞদের এবারের হিসেবেও কোন ধরনের ভুল আছে কিনা তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles