দীর্ঘদিন ধরে চলা ভারত-চিন সংঘর্ষের মধ্যেই আজ হঠাতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখ সফর করেন। আর এই সফর মোটেই ভালো চোখে দেখেনি চিন। বেজিং মোদীর এই সফর নিয়ে সরাসরি নাম না করে একটি বক্তিতা রাখে। চিনের তরফ থেকে জানানো হয়, এই পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষেরই উচিত নয় উস্কানিমূলক পদক্ষেপ গ্ৰহন করা। কিন্তু প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফর উসকানিমূলক, তা স্পষ্ট করে বলেনি চিন।
আজ কাকভোরেই লাদাখে পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লেহ থেকে সেনার হেলিকপ্টারে করে নিমুতের ফরোয়ার্ড পোস্টে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই সফরের সঙ্গী ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সেখানে গিয়ে সেনাকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন মোদী। এই খবর জানার পরেই প্রতিক্রিয়া দেয় বেজিং। এই চিনের বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানিয়েছেন, “ভারত ও চিন আলোচনার মাধ্যমএ সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। এহেন সময়ে কোনও পক্ষেরই উচিত নয় এমন কোনও পদক্ষেপ করা যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।”
বর্তমান সময়ে চিনের আগ্ৰাসন নীতি নিয়ে অনেক দেশেই আঙ্গুল তুলেছে। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশে দলাই লামার সফর নিয়েও বরাবর আপত্তি জানিয়েছে চিন। সেই সফর নিয়েই ২০১৮ থেকে ক্রমশ সংঘাত শুরু হয় দু’দেশের মধ্যে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের এই আগ্ৰাসন ভারত কখনোই মেনে নেবে না।