গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাদাখে ভারত- চীন সীমান্তে গত উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। চীন সেনাবাহিনী বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করছিল। এই নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চীনের সেনাবাহিনীর প্রধান এর বৈঠকও হয়েছিল। তারপর চীন সেনা ২.৫ কিমি মত পিছিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
সোমবার সকালে ভারত-চীন দুই দেশের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ে বৈঠক হয়। তারপর পরিস্থিতি বদলাতে থাকে এবং রাত্রে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণ চালায় চিনের সেনা। বৈঠকের পরেও এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে কেউ আশা করেনি।
গতকাল সকাল পর্যন্ত খবর ছিল যে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার একজন অফিসার সহ আরও দুজন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সংবাদসংস্থা ANI এর রাত ১০ টার প্রতিবেদন অনেকটাই চমকে দিয়েছে সকলকে। সংবাদসংস্থাটি এর থেকে জানা গিয়েছে,লাদাখ সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছে। এছাড়া হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গুরুতর জখম ১৭ জনের মতো ভারতীয় সেনা। এই সংঘর্ষে চীনের হত এবং গুরুতর আহত জওয়ানদের সংখ্যা ৪৩ জন এমনটাই দাবি এএনআই সংবাদসংস্থার।
গতকাল চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত, স্থল-বায়ু-নৌ সেনার প্রধানদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথাও বলেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তাব জানিয়েছেন, সীমান্তের যে নিয়ম আছে তা মেনেই এলএসির মধ্যেই রয়েছে ভারত। আমরা মনে করছি চিনও সেটাই করবে। ভারত চায় কোনো অশান্তি না করে শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে।