গোটা দেশে লকডাউন। করোনা রুখতে 21 দিন দেশবাসীকে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা সত্বেও চরম অসাবধানতার পরিচয় দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ ।করোনা সংক্রমণ রুকতেই এটাই একমাত্র পথ বারবার বলা হচ্ছে সে কথা ।কিন্তু কোনো কথা কানে তোলার পাত্র নন কিছু মানুষ।প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে মানুষের রাস্তায় বেরোনোর এই প্রবৃত্তি কড়া হাতে দমন করতে রাস্তায় ঘোরাফেরা জনতাকে ঘরমুখো করতে দিনভর দৌড়াচ্ছেন পুলিশ ।কিন্তু তাতে কি চোখ ফাকি সোশাল ডিসটেন্সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন কিছুজন।
শুক্রবার কর্নাটকের তুমাকুরু জেলার তুরুভেকেরের বিধায়কের জন্মদিন ছিল।সকলের সঙ্গে প্রত্যেকবার জন্মদিন পালন করতে ভালোবাসেন তিনি।প্রত্যেকবারের মতো এবারও তার অন্যথা করলেন না কারো কথা না শুনে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই 100 জনের সঙ্গে নিজের জন্মদিন পালন করলেন তিনি।সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না সেখানে।এমনকি জন্মদিন -এ আসা অতিথিদের বিরিয়ানিও খাওয়ানো হয়েছে।তাও আবার অন্যন্য সব দিনের মতো সকলকে একসাথে বসিয়ে।অবশ্যই লকডাউনের সময় এই ধরনের কাজ তিনি প্রথম করেননি।উদাহরনে আছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী,একটি সম্বর্ধনা আয়োজন আর সেই অনুষ্ঠানে শতাধিক কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি।
কর্নাটকে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 200 জন।নতুন করে দশজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।কিন্তু এখনো প্রশাসনের টনক নড়ছে না, হুশ ফিরছে না তাদের।প্রশ্ন এটাই এরকম শিক্ষিত মানুষ যদি পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে না পারে তাহলে সাধারন মানুষ কতোটা বুঝবে?