ভারত সরকারের একটি বড় আয়ের উৎস হল ভারতীয় রেল। এখান থেকে বছরে একটা বড় অঙ্কের অর্থ সরকারি কোষাগারে ঢোকে। এছাড়া ভারতে সবথেকে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ এই রেল ব্যাবস্থার ওপরেই। অনেকদিন থেকে রেলকে বেসরকারিকরণের কথা উঠেছিল। লকডাউনের পর সরকারি কোষাগারে যে টান পড়েছে তার জেরেই যাত্রীবাহী ট্রেনকে বেসরকারিকরণের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। এর জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে প্রস্তাব চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
১০৯ টি রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের দায়িত্বের ভার বেসরকারির হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। কেন্দ্র সরকার থেকে বলা হয়েছে, এর ফলে যাত্রী সুরক্ষা, যাত্রী পরিষেবা এবং আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে, এই জন্যই এরকম বড় সিদ্ধান্ত। তারা জানিয়েছে, ৩০ হাজার কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগের সম্ভবনা রয়েছে।
রেলের বক্তব্য, রেলকে আরও উন্নত এবং উন্নত প্রযুক্তি আনতে রেলকে বেসরকারিকরণ জরুরি। এর ফলে রক্ষণাবেক্ষণের যে খরচ সেটাও বাঁচবে, যাত্রার সময় কমবে এবং যাত্রীরা বিশ্বমানের সুবিধা পাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেল বেসরকারিকরণ হলে আরও অনেক কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ রয়েছে। ট্রেনগুলো আরও ঝা চকচকে হবে। যাত্রীরা উন্নতমানের সুবিধা পাবেন।