দেবপ্রিয়া সরকার : বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সারাদেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২৪ শে মার্চ থেকে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আগামী ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু ১৪ ই এপ্রিলে লকডাউন উঠবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কেননা কিছুদিন আগে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন আরো কিছুদিন জারি রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এছাড়া লকডাউন চলাকালীনও দেশে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে লকডাউন তুলে পরিস্থিতি এখনি আগের মত স্বাভাবিক করা উচিত হবে না বলে মনে করছেন অনেকে।
ভারতের দেশীয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী কে লকডাউন সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান ও বিবেচনা অনুযায়ী এই রাজ্যে বিশেষ কিছু জায়গাকে করোনা সংক্রমনের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। গতকাল নবান্নে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। তিনি জানান, রাজ্যে ৯-১০টি জায়গায় বেশি করোনা সংক্রমণ ঘটেছে। সে জায়গাগুলোর মধ্যে উত্তরবঙ্গের ১টি , কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গা পূর্ণ লকডাউনের আওতায় পড়ছে।
রাজ্যের মুখ্য সচিব জানান সংক্রমণ প্রতিরোধে কয়েকটি জায়গায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বা এখান থেকে কেউ বাইরে বেরোতে পারবে না, এমন ব্যবস্থা করা হবে। হটস্পট কীভাবে বাছাই করা হয়েছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ১১টি পরিবার থেকেই ৬০টির বেশি কোভিড সংক্রমণ ঘটেছে। কালিম্পং, হলদিয়া, এগরা, হাওড়া, কলকাতায় দেখা গিয়েছে একজনের থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুত পরিবার বা প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সূত্র ধরেই বাছাই করা হয়েছে হট স্পট। জানানো হয়েছে, আপাতত ১৪ দিন বহাল থাকবে এই ব্যবস্থা। ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৪৭ জন। গত ২৪ ঘন্টা মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।