মমতার অনুরোধ! পেটভরার খাবার পেলো ভিনরাজ্যে থাকা বহু বাঙালি শ্রমিক!
দেবপ্রিয়া সরকার : করোনা ভাইরাসের প্রভাব যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে দেশের সরকার ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের এবং আক্রান্ত ৭২৪ জন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যবাসির জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছেন। তিনি মানুষের সুবিধার্থে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত।
এই ঘোষণা জারি হতে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত চলাচলের পথ। ঘরবন্দী দেশের সব মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বাংলার যে সমস্ত মানুষ কর্মসূত্রে বাইরে থাকে তাঁরাও আর ফিরতে পারেনি নিজের রাজ্যে। কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্র থেকে কিছু বাঙালি শ্রমিক ফেসবুক লাইভ করে জানায় যে তাঁরা অর্থ শূন্য, খাদ্য শূন্য অবস্থায় মহারাষ্ট্রে আটকে পড়েছে। তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটে ছিলো, কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হয় সেই টিকিট বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর ফলে বাড়ি ফেরার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের। মুম্বইয়ে বান্দ্রার ভারতনগরে আটকে পড়েছেন তারা।
এই খবর সম্প্রতি প্রচারিত হয় ‘নিউজ১৮বাংলা’ চ্যানেলে। এই খবর মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়তেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন যে লকডাউন এর কারণে তাঁদের রাজ্যগুলিতে অনেক বাঙালি শ্রমিক আটকে পড়েছেন। তাদের কাছে কোনরকম অর্থ ও খাদ্য ব্যবস্থা নেই। তাই যতদিন লকডাউন চলবে, ততদিন তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যদি সেই শ্রমিকদের খেয়াল রাখেন তাহলে তাঁরা সুস্থভাবে এই কদিন কাটাতে পারবে। লকডাউন উঠে গেলে তারপর তাঁরা আবার ফিরে আসবে বাড়িতে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের হাতে চিঠি পৌঁছে দিয়ে তিনি তৎক্ষণাৎ সেই চিঠির উত্তর পাঠিয়েছেন।
তিনি উত্তরে বলেছেন তাঁদের রাজ্যের বাঙালি শ্রমিকদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার তাঁদের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত তাঁদের কোনো রকম অসুবিধা হবে না। আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে একজন জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার তাঁদের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এজন্য মহারাষ্ট্রে সরকারকে তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছে তাঁরা।