নিউজরাজ্য

ভারত মাতার সুরক্ষায় শহীদ হয়ে ঘরে ফিরলেন বীর সন্তান, বাড়ির পাশে তৈরি চিরশয্যা

Advertisement
Advertisement

লাদাখে ভারত-চীন গোলাগুলিতে শহীদ হয়েছে ২০ জন জওয়ান। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার দুই ছেলে রাজেশ ওরাং এবং বিপুল রায়। তাদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। এমনকি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গোটা দিন অপেক্ষা করেছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রাম। তাদের গ্রামের ছেলে রাজেশ ওরাং কে শেষ শ্রদ্ধা জানাবে বলে। কিন্তু গোটা দিনের অপেক্ষা তাদের বিফলে গিয়েছে সেদিন দেহ ফেরেনি রাজেশের। কিন্তু গ্রামবাসী আশা ছেড়ে চলে যায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শহীদ রাজেশকে বরণ করতে প্রস্তুত হয়ে যায় গ্রামবাসী। শুক্রবার সেনা কনভয় সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে রাজেশের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে বেলগড়িয়া গ্রামে পৌঁছে যায়। তারপর ফুল, মালা, গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বের পর বাড়ির পাশেই সমাধিক্ষেত্রে চিরশয্যায় শায়িত হবেন শহিদ রাজেশ ওরাং।

শুক্রবার সকাল ৬:৩০ মিনিট নাগাদ সেনা কনভয় পানাগড়ের সেনাঘাঁটি থেকে শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের দেহ নিয় বের হয়। ওইখান থেকে বীরভূমের মহম্মদবাজার পর্যন্ত গোটা রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখে বীরভূম জেলা পুলিশ। জাতীয় সড়কে প্রায় অন্য কোনও যান ছিল না। সিউড়ি হয়ে সেনা কনভয় যখন মহম্মদবাজারের দিকে এগোতে থাকে, তখন স্থানীয় গ্রামবাসী ছাড়াও আশপাশের গ্রামের মানুষ এর ভিড় উপচে পড়ছিল শহীদ রাজেশ কে দেখার জন্য।

ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই শোকে কাতর মা মমতা ওরাং। তিনি বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। কথা বলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরিবারে শোকের ছায়া দেখা দিলেও প্রতিবেশীদের মধ্যে শুধু চীনের প্রতি ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেশীরা বলেন চীন এর ওপর এই হামলার বদল নিলেই দেশবাসী শান্তি পাবে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles